ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার শফিকুল ইসলাম (৩৯) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাননি। বরং তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলে মৃত্যুর ১১ দিন পর ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বোন মাহবুবা জাহান খালেদা বাদী হয়ে মামলাটি করেন (মামলা নং ৩৪)। এছাড়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও শফিককে কুপিয়ে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ এসব তথ্য জানান।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের লাউদিয়া এলাকায় শফিকুলের কাদাপানি মাখা অর্ধমৃত দেহ পাওয়া যায়। সে সময় পুলিশসহ অনেকের ধারণা ছিল সড়ক দুর্ঘটনায় শফিক মারা গেছেন। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস কালীগঞ্জ যাওয়ার সময় শফিকুলকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ফরিদপুরে নেওয়ার পথে শনিবার ভোরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মামলার এজাহারে বাদী মাহবুবা জাহান খালেদা উল্লেখ করেন, হামদহ বাসস্ট্যান্ডের বাসার সামনে দোকান ঘর বিক্রি করা নিয়ে জনৈক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধের সূত্র ধরেই তাকে হত্যা করা হয়। দোকানের পজেশন বিক্রির টাকা চাইতে গেলে কাঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রফিকুল ইসলাম গত ১৮ অক্টোবর শফিককে কাঠের বাটাম দিয়ে মারধর করে হত্যার চেষ্টা চালান। পরে ২ নভেম্বর রাতে মোবাইলে ডেকে নিয়ে রফিকুল ও অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা শফিকুলকে কুপিয়ে হত্যা করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, ৩০২/২০১ ও ৩৪ ধারায় হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।