পুলিশের বেআইনী ও হয়রানীর প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন। গত মঙ্গলবার ৩৭ মামলা মাথায় নিয়ে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেছেন তিনি।
আজ রবিবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর মিলন স্বাক্ষরিত চিঠিটি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে পৌঁছে দেন তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবি। আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তিনি সিইসির সাক্ষাৎ পাননি।
দেশে ফিরে ওই দিন সকালে ঢাকায় নেমেই জামিনের আশায় আত্মসমর্পণ করতে রওনা দেন চাঁদপুরের আদালতের দিকে; কিন্তু পুলিশ দেখে ফিরে আসেন। একইভাবে পরপর তিন দিন আদালতে গিয়েও আত্মসমর্পণ করেননি।
এরপরই নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়ে সিইসির বরাবর এই চিঠিটি পাঠান সাবেক এ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। চিঠিতে তিনি লিখেন, ‘আমি একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত হতে পেরেছি যে, পুলিশ আমাকে আদালতে হাজির হওয়ার সুযোগ না দিয়ে বাইরে থেকে গ্রেফতার, অতঃপর নতুন নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের লক্ষ্যই এমন ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এ কারণে আমি আইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত করার সুযোগ থেকে মারাত্মকভাবে বঞ্চিত হচ্ছি।
যেহেতু নির্বাচনী আইন অনুযায়ী বর্তমান পুলিশসহ সমস্ত প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন, সে কারণে আমাকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনে এহেন বেআইনী তৎপরতা বন্ধ এবং আইনী প্রক্রিয়াসহ স্বাভাবিক নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার পথে সকল প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে আমি নির্বাচন কমিশনের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
ভ্যানিটি ব্যাগ ও গলার চেইন ছিনতাই, গরু চুরিসহ বিভিন্ন মামলায় ২০১০ সালের ৪ মার্চ থেকে টানা ৪৪৯ দিন কারাবরণ শেষে জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসা ও গবেষণা কাজে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন মিলন। সেখানে কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে করেছেন পিএইচডি। গত ১০ নভেম্বর দেশটির ইন্টারন্যাশন্যাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে সাবেক এই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর গবেষণা শেষ হয়।
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাঁদপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে মিলনের পক্ষে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী। এহসানুল হক মিলন ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৯ সালে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।