গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর শহরের উজিলাব এলাকায় বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা অবরোধ করে জিম্মি করে রেখেছে প্রতিপক্ষরা। ওই পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত হাসমত আলীর ছেলে মোহাম্মদ আমির হোসেন লালন এ ব্যাপারে গাজীপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ওই এলাকার রজব আলীর ছেলে মোহাম্মদ আমানুল্লাহ বাচ্চু, তার ছেলে মোঃ রানা মিয়া, আমানুল্লাহ বাচ্চুর স্ত্রী তাসলিমা আক্তার, আমানুল্লাহ বাচ্চুর কন্যা বেবী আক্তার, আহমদ আলীর ছেলে হাসমত আলী, আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ জনি, দুলাল মিয়ার ছেলে মোঃ মনির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোঃ রনি এবং তাদের কমপক্ষে ৫ জন সহযোগি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আমির হোসেন লালন দীর্ঘদিন থেকে তার বাবার নিজ সম্পত্তিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষসহ বিভিন্ন কৃষি কাজ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছিলেন। তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য শ্রীপুর পৌর কর্তৃপক্ষ একটি রাস্তা নির্মাণ করেন। ওই রাস্তা দিয়ে আমির হোসেন লালন এবং তার প্রতিবেশীরা যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অভিযুক্তরা গত ১ সেপ্টেম্বর বাঁশ দিয়ে প্রাচীর তৈরি করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। প্রাচীর খুলে ফেলার চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা ওই এলাকার লোকজনদের ওপর হামলা, বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে থাকে।
আমির হোসেন লালন অভিযোগ করেন, ওই রাস্তাটি চাঁদার বিনিময়ে খুলে দেয়া হবে বলে অভিযুক্তরা দাবি করেন। তিনি দাবি করেন- ওই এলাকার কমপক্ষে ২০ পরিবার এখন ওই রাস্তার কারণে তাদের বাড়িতে যাতায়াতে বন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছেন।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজীপুরের আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য এবং প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শ্রীপুর থানা পুলিশকে দায়িত্ব দেন।
আমির হোসেন লালন অভিযোগ করেন, পুলিশ যখন ঘটনাস্থল তদন্ত করতে যায় তখন অভিযুক্তরা রাস্তা থেকে প্রাচীর সরিয়ে ফেলে। তবে প্রাচীরের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার বিষয়টি ছবি তুলে তদন্ত কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক শেখ সাদী বলেন, এ বিষয়ে আদালতের আদেশে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।