হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীর প্রেম, অতঃপর তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের মধ্যে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
এ দিকে, পুলিশ ওই গৃহবধুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
শনিবার বিকেলে ওই গৃহবধূর বক্তব্যে ও মামলার বিবরণে জানা যায়, জলসুখা গ্রামের আব্দুল মমিনের কন্যা হুসনা আক্তার (২২) এর বিয়ে হয় বানিয়াচং সদরের যাত্রাপাশা গ্রামের এক প্রবাসীর সাথে। এরই ফাকে জলসুখা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং ওই গ্রামের আরাফাত উল্লার পুত্র শেবলু মিয়া (৩০) এর সাথে স্বর্ণের চেইন বানানোর সময় পরিচয় হয়।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। শেবলু তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার প্রবাসী স্বামীকে তালাক প্রদান দিয়ে দেন।
এরপর থেকেই তারা মাঝে মধ্যে শেবলু এবং হুসনা আক্তারের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে। এদিকে কিছু দিন ধরে শেবলু হুসনাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। এবং গত বুধবার শেবুলের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়।
বিয়ের বিষয়টি হুসনার কানে পৌঁছলে হুসনা বিয়ের দিন গিয়েই শেবলুর বাড়িতে অনশন শুরু করে। এক পর্যায়ে শেবলুর বিয়ে ভেঙে যায়। এরই ফাঁকে শেবলু আর হুসনার সাথে রাগারাগি হয়। পড়ে শেবলু তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে গা ঢাকা দেয়।
হুসনা এ বিষয়টি আচ করতে পেরে গত শুক্রবার বিকেলে আজমিরীগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী অফিসার দুর্গা কুমার দেব জানান, অভিযুক্ত শেবলুকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে এবং ভিকটিম হুসনাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তার ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে বিজ্ঞ আদালতে ভিকটিম হুসনার জবানবন্দী নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।