Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ যেভাবে শুরু হয়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:০২ PM
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:২৫ PM

bdmorning Image Preview


নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশসহ বিএনপির প্রায় ৫০ নেতাকর্মী  আহত হয়েছে। বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভরত বিএনপির নেতাকর্মীরা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও শটগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ছে পুলিশ। এদিকে, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেছে। নয়াপল্টনে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি কেন্দ্র করে সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীরা ভিড় করছিলেন। এতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। পুলিশ সড়ক খালি করার চেষ্টা করছিল। এ থেকেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সূত্রপাত হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল কার্যালয়ের সামনে আসে। এ সময় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আরও কয়েকটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়। তখন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ফুটপাতের দিকে অবস্থান নেয়ার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন এবং তাদেরকে ফুটপাতের দিকে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।

ফাঁকা গুলির ঘটনায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এরই জেরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং রাবার বুলেট ছুড়ে। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ করে ইটপাটকেল, জুতা এবং অন্যান্য বস্তু নিক্ষেপ করতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মনোনয়ন ফরম নিতে সকাল ১০টা থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে নেতাকর্মীদের ভিড়ে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। বেলা ১টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় সংঘর্ষ বেধে যায়। কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলতে থাকে। পুলিশ মারমুখী হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেন বিএনপি কর্মীরা।

এ দিকে সংঘর্ষের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারপ্রধানের নির্দেশেই এ হামলা হয়েছে। সরকার বিভিন্নভাবে উসকানি দেবে। আপনারা (নেতাকর্মী) তাদের ফাঁদে পা দেবেন না। আমরা শান্তির পক্ষে। সরকারের নির্দেশে পুলিশ বিনা উসকানিতে এ আক্রমণ করেছে। তার পরও আমরা অশান্তির পথে হাঁটব না। সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দেব।

এ ঘটনা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বিনা উসকানিতে ইস্যু তৈরির জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় মহানগর পুলিশের ‍মতিঝিল জোনের এডিসিসহ ১৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের অনুরোধ করে মনিরুল ইসলাম বলেন,  পুলিশকে প্রতিপক্ষ ভাববেন না। আপনার সুশৃঙ্খলভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করুন, এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। পুলিশ রাষ্ট্রের কর্মচারী।

Bootstrap Image Preview