Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ সোমবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজের চেয়ারম্যান সুমনের ফাঁদে নিঃস্ব বাড়ির মালিকরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০৬ PM
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কিছুদিন আগে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠলেও এবার ভিন্ন এক অভিযোগ উঠেছে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরী কলেজের আজিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে। তার ফাঁদে নিঃস্ব হচ্ছেন বাড়ির মালিকরা। রাজধানীর বুকে একের পর এক এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

জানা যায়, আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় চেক জালিয়াতির মামলা রয়েছে। কলেজের ছাত্রীর কাছ থেকেও রয়েছে নানা অভিযোগ। এসব অভিযোগের কারণে তাকে হাজতবাস করতে হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই সামনে এলো ভাড়াটিয়া পরিচয়ে বাড়িওয়ালাকে জিম্মি করে ভোগ-দখলের চেষ্টা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাত বছরের চুক্তিতে নিকুঞ্জ-২ এর তিন নম্বর রোডের ৫ তলা ভবনের তিনটি ফ্লোর ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজ নামের একটি কলেজ গড়ে তুলেছেন।

গত ১ জুলাই চুক্তি শেষ হয়। কিন্তু আজিজুর রহমান সেই বাসা থেকে উঠছেন না। এমনকি বাড়ির মালিক জুলিয়া এহসানকে গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোনো ভাড়াও পরিশোধ করেননি। এছাড়াও নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় এমন ৫টি ভবন ভাড়া নিয়েছেন আজিজুর রহমান সুমন। একটি বাসায় তিনি নিজেই থাকেন। সেই বাসার বাড়িওয়ালা দেশেই থাকেন না। এক মাসের ভাড়া দেন তো আরেক মাসের ভাড়া দেন না। ১ নম্বর রোডের চারতলা ভবন কলেজের কথা বলে ভাড়া নেন। সাইনবোর্ড থাকলেও তিনি সেখানে ছাত্রছাত্রী পড়ানোর জন্য রেখেছেন। সেই বাড়ির মালিক মালিক বাদশা। তাকেও নানাভাবে হয়রানি করছেন এই আজিজুর।

মালিক বাদশা বলেন, বাসা ভাড়া নিয়ে টাকা দেন না সুমন। অনেক দিন ঘোরার পর আমাকে চেক দিয়েছেন। কিন্তু ব্যাংকে কোনো টাকা ছিল না। এ কারণে চেক বাউন্সের মামলা করেছি।

চুক্তিমতো বাসা ছেড়ে দিতে বললে আজিজুর রহমান সুমন বাড়িওয়ালাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এ ব্যাপারে জুলিয়া এহসান বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমরা এই আজিজুর রহমানের ফাঁদ থেকে বাঁচতে চাই। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে খিলক্ষেত থানায় গত ৬ জুন জিডি করেছি।’

অপরদিকে নিকুঞ্জ-৮ নম্বর রোডের ১৫ নম্বর হাউসেও ছিল ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজ। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আদৌতে এখানে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরী কলেজের কোনো স্থাপনা নেই। এখানে আছে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র। সেখানে কথা হয় এ ভবনের ম্যানেজারের সঙ্গে।

তিনি জানান, ‘এখানে কখনই ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজের ক্যাম্পাস ছিল না। তৃতীয় তলার ওপর থেকে একটা সময় তাদের হোস্টেল ছিল। কিন্তু অনিয়মিত লেনদেনের কারণে ভবন মালিক তাদের চলে যেতে বললে কলেজের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান সুমন তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা করা হলে তারা এ ভবন ছাড়তে বাধ্য হন।’

তিনি আরও জানান, এ মামলার কারণে কলেজটির চেয়ারম্যান সুমনকে একরাত থানায় থাকতে হয়েছিল।

এ ব্যাপারে পুলিশ জানায়, এই ব্যক্তির কাজ বাসা ভাড়া নেওয়া। সেখানে তিনি কলেজ বা হোস্টেল করেন। সময় সুযোগ মতো বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধেই নানাভাবে হেনস্তা করেন।

স্থানীয়রা বলছেন, রেসিডেন্সিয়াল কলেজের সাইনবোর্ড দেখিয়ে সবার সহযোগিতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন আজিজুর। এমনকি কলেজ দেখে কেউ কোনো কথাও বলেন না।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানকে একাধিক ফোনে যোগাযোগ করা হলে, সে ফোন ধরেনি।

পরে কলেজ প্রসপেক্টাসে দেওয়া নাম্বারে কল দিলে একজন ফোন ধরেন এবং জানান, তিনি বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন না৷ পরে স্কুলের শিক্ষক অপু স্যারকে কল দিলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারবো না। আমাদের চেয়ারম্যানকে কল দেন।

অপরদিকে চলতি বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে নাম ঠিকানাবিহীন একটি চিরকুট বিডিমর্নিং-এর হাতে এসে পৌঁছায়। চিরকুটের পিছনে দেওয়া ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে জানা যায় তারা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরী কলেজের শিক্ষার্থী ও বর্তমানে এই কলেজের ছাত্রী হোস্টেলে থাকছে।

সেখানে লেখা ছিল, ‘ভাইয়া, চেয়ারম্যান স্যার অনেক রাতে হোস্টেলে আসে। এই হোস্টেলে কোনো সুযোগ-সুবিধা আমরা পাই না। মেয়েদের গায়ে হাত তুলে। আমাদের এক ফ্রেন্ডের গায়ে হাত তুলেছে। ফোন নাম্বারটা কাল দুপুরে খোলা থাকবে। একটা রিকোয়েস্ট আমাদের কথা যেন জানতে না পারে। কারণ অনেক প্রবলেম করতেছে। আমাদের ফেসবুক আইডি এবং পাসওয়ার্ডও নিয়েছে চেয়ারম্যান স্যার।’ এ অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য নিকুঞ্জ-২ এর এই কলেজে ক্যাম্পাস-১ এ যোগাযোগ করা হলে ঊর্ধ্বতন কাউকে পাওয়া যায়নি।

কলেজ রিসিপসনিস্ট একটি প্রসপেক্টাস ধরিয়ে দিয়ে বলেন,১ নং রোডে অবস্থিত আমাদের ক্যাম্পাস-২ এ যোগাযোগ করুন। সেখানে আমাদের প্রিন্সিপ্যাল স্যার বসেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য ১ নং রোডে অবস্থিত ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরী কলেজের ক্যাম্পাস-২ এ যোগাযোগ করা হলে প্রিন্সিপ্যালের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এরপর কলেজ থেকে দেওয়া প্রসপেক্টাসের শেষ পাতায় বাকি দু’টি ক্যাম্পাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় টিম বিডিমর্নিং। কিন্তু ৮ নাম্বার রোডের ১৫ নাম্বার হাউজে গিয়ে দেখা যায়, আদৌতে এখানে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরী কলেজের কোনো স্থাপনা নেই। এখানে আছে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র।

অন্যদিকে, ১২ নাম্বার রোডের ৪ নাম্বার হাউজে গেলে কথা হয় ভবনটির দারোয়ানের সাথে। তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে ভবনটিতে কর্মরত রয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ভবনটি শুরু থেকে একটি আবাসিক ভবন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এখানে কখনোই কোনো কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো না।

প্রসপেক্টাসে দেওয়া তথ্যের সাথে বাস্তবের মিল না পেয়ে, এবার ভিন্ন মাত্রায় অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় বিডিমর্নিং। ফেসবুকে পাওয়া যায় একাধিক গ্রুপ ও পেইজ। এছাড়া ইউটিউবে পাওয়া যায় একাধিক ভর্তি বিজ্ঞাপন।

যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এ কলেজের একাধিক সুযোগ সুবিধার কথা, যার মধ্যে রয়েছে ঢাকা বোর্ডের একাধিকবার সেরা বিশে অবস্থান, মাল্টিপ্রোজেক্টরে মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদান, লাইব্রেরী ও ল্যাব ব্যবস্থা এবং দেশ সেরা হোস্টেল ব্যবস্থার কথা।‘

কিন্তু এ হোস্টেলের অনিয়ম নিয়েই বিডিমর্নিং টিমের কাছে অভিযোগ আসে তাই এবার বিজ্ঞাপনের সাথে মিল খুজতে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।

অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে কথা হয় টিসির জন্য ঘুরতে থাকা এক শিক্ষার্থীর সাথে।

নাম না প্রকাশের শর্তে ঐ শিক্ষার্থী জানায়, রাজবাড়ী থেকে এক বছর আগে ২০১৭ সালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরী কলেজে ভর্তি হয় এবং ঢাকায় কোনো নিকট আত্মীয় না থাকায় এ কলেজের হোস্টেলেই থাকার সিদ্ধান্ত নেয় সে। ভর্তির সময় বৃত্তি দেয়ার কথা থাকলেও কখনোই তা পায়নি সে। কিন্তু বছর ঘুরার আগেই অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও অযৌক্তিক জরিমানার কারণে প্রায় প্রতি মাসেই তাকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। যা তার কৃষক বাবার জন্য প্রায় অসম্ভব। তিনি আমাদের আরো জানান, বর্তমানে অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় বহন করতে না পেরে সে টিসি নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তা দিচ্ছে না। তাকে টিসি নিতে হলে পূর্ণ দুই বছরের হোস্টেল ফি ও কলেজের বেতন পরিশোধ করতে হবে। তবেই কর্তৃপক্ষ টিসি দেবে তাকে।

অনুসন্ধানের সময় ২০১৮ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একটি গ্রুপের সাথে কথা হয়। তারা আমাদের জানায়, টেস্টে অকৃতকার্যদের অধিক টাকার বিনিময়ে বোর্ড পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করিয়েছে কলেজের কর্তৃপক্ষ এবং টেস্টে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও বোর্ড রেজিস্ট্রেশন ফি হতেও ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা অধিক নেয়া হয়েছে। এমনকি এ বিষয়ে কলেজের চেয়ারম্যান সুমনের কাছে গেলে তিনি উল্টো অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তাদের বের করে দিয়েছে।

এদের মাঝে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা এক শিক্ষার্থী জানায়, চলতি বছর শিক্ষা সফরে কলেজ চেয়ারম্যানের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সুমন শিক্ষার্থীদের এ বলে হুমকি দেয় , ‘ আমি তোদের এখানে মেরে ফেললেও তোদের কেউ বাঁচাতে পারবে না।'

এ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় এ কলেজের গণিত বিভাগের সদ্য চাকরিচ্যুত হওয়া জনাব আরিফ হোসেন স্যারের সাথে।

এই শিক্ষক জানান, এখন থেকে না আমার নিয়োগের পর থেকেই নানা অনিয়ম দেখে আসছি। কিন্তু চাকরির কারণে মুখ বন্ধ করে থাকতে হত। তবে একবারে চুপ করেও থাকিনি। চেয়ারম্যান স্যার মাঝে মাঝেই ছাত্রী হোস্টেলে যেতেন এবং ছাত্রী হোস্টেলের নিচে তার ব্যক্তিগত গাড়ি রাখতেন। আমিসহ আরো তৎকালীন একাধিক শিক্ষক প্রতিবাদ করে তা বন্ধ করেছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি আবার আগের অবস্থায় চলে গিয়েছে। মার্চের ১৪ তারিখে চেয়ারম্যান রাতের বেলা আবারও ছাত্রী হোস্টেলে প্রবেশ করেছিল ও এক ছাত্রীর গায়ে হাত তুলেছে।

তিনি আরো জানান, এগুলো চেয়ারম্যানের কাছে খুবই সাধারণ বিষয়। কারণ এর আগে সে কলেজের এক রিসিপশনিস্ট এর সাথেও জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেছিল। এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি জিডিও হয়েছিল। বর্তমানে মেয়েটি একটি গার্মেন্টসে কাজ করছে।

অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে একটি ফোন কল আসে আমাদের কাছে। জানানো হয়, ১৪ মার্চ রাতে কলেজ চেয়ারম্যান ছাত্রী হোস্টেলে প্রবেশ করে একছাত্রীকে মেরেছে।

পরবর্তীতে চায়ের দোকানে জিহাদ নামের এই কলেজের এক এইচ এস সি পরীক্ষার্থীর সাথে দেখা করলে ঐ শিক্ষার্থী জানায়, ‘চেয়ারম্যান সুমন ১৪ তারিখ রাত ১ টার দিকে ছাত্রী হোস্টেলে প্রবেশের আগে ছাত্র হোস্টেলে প্রবেশ করে একাধিক ছাত্রকে মেরে আহত করে এবং টিসি দিয়ে হোস্টেল থেকে বের করে দেয়।'

আহত ছাত্র রোহানের মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার ছেলেকে মেরে রক্তাক্ত করেছে কলেজের চেয়ারম্যান সুমন। এসময় তিনি আমাদের তথাকথিত জরিমানা বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, প্রায় প্রতি মাসেই ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত জরিমানা গুণতে হয়েছে এই শেষ ২ বছরে। শুধুমাত্র আমার ছেলের কোনো সমস্যা যাতে না হয় তাই এ জরিমানাগুলো দিয়ে এসেছি। কিন্তু আমার সন্তানকে কেন মারা হলো সেটিই এখনো বুঝে উঠতে পারলাম না।

এ অনিয়মের বিষয়গুলো নিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিভাষ ঘটকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে ইচ্ছুক নন। চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন আমাদের।

এরপর চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য নিকুঞ্জ-২ এর ১ নাম্বার রোডের ২ নাম্বার কলেজ ক্যাম্পাসে গেলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানায়, চেয়ারম্যান গত সাত দিন ধরে ক্যাম্পাসেই আসেন নি।

কিন্তু কলেজের দারোয়ান জানান ঠিক উল্টো কথা। তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে আসেন চেয়ারম্যান সুমন।

এরই মধ্যে কথা হয় এই কলেজের শিক্ষক মনসুর আহমেদের সাথে। জরিমানার বিষয়ে তিনি বলেন, জরিমানা তো হয়েই থাকে কিন্তু কখন কি কারণে হচ্ছে তা আমরা জানি না।

চেয়ারম্যানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার কাছে আমরা এখানকার কর্মচারী, তার বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। অনেকটা বাধ্য হয়েই কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিডিমর্নিং এর সাথে কথা বলতে রাজি হলেও প্রশ্নের মুখে চটে যান তিনি। বিডিমর্নিং এর সাংবাদিককে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয় এবং বলেন এ বিষয়গুলো আমাদের একান্ত বিষয়, এ বিষয়ে কিছু জানার অধিকার আপনাদের নেই।

Bootstrap Image Preview