Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বরিশাল-৬: বিএনপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব, জাপাকে না আ.লীগের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০৮ PM
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০৮ PM

bdmorning Image Preview


বরিশাল প্রতিনিধিঃ

এক পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় চলছে ভোটের আমেজ। এ আসনের ভোটার সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে এ আসনে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাপা নেতাদের মধ্যে দৌড়-ঝাঁপ লক্ষ্য করা গেছে।

বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোতে এ আসনে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন, তার দল বা জোটই সরকার গঠন করেছে। এ কারণে এ আসনের প্রতি বিশেষ নজর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। এ আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকায় দলে চলছে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। অন্যদিকে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে এবার ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ।

১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী হয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হন বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ মো. ইউনুস খান। তার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে বিজয়ী হন তৎকালীন বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা) অধ্যক্ষ আ. রশিদ খান এবং ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী আলহাজ সৈয়দ মাসুদ রেজার মৃত্যুর পর এ আসনে আওয়ামী লীগের আর কেউ এমপি নির্বাচিত হতে পারেননি।

২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসনে বিএনপিতে আসেন নতুন মুখ। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাসুদ রেজাকে হারিয়ে বিজয়ী হন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল জেলা সহসভাপতি আবুল হোসেন খান।

২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাপার মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে তার স্ত্রী দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নাছরিন জাহান রত্না নির্বাচিত হন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান এমপি নাছরিন জাহান রত্না দলটির একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।

মনোনয়ন প্রশ্নে নাছরিন জাহান রত্না জানান, ‍‌‌'দল মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করব।'

এ অবস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, দলীয়ভাবে বারবার বঞ্চিত হওয়ায় ২০০১ সাল থেকে এই আসনের জনগণও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক। কিন্তু মহাজোটের স্বার্থে জাপাকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়। তবে আগামী নির্বাচনে হাফিজ মল্লিককে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান নেতাকর্মীরা।

এ প্রসঙ্গে হাফিজ মল্লিক বলেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই।

আওয়ামী লীগের অপর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন প্রয়াত সাবেক এমপি সৈয়দ মাসুদ রেজার স্ত্রী আইরীন রেজা, বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য ড. মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুব্বর আমিনুল, বাকেরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ও বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মনজুরুল হক মঞ্জু।

অন্যদিকে, বিএনপির আরও কয়েকজন নেতা আগামী নির্বাচনে এ আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। তারা হলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদ হাসান, উপজেলা বিএনপি নেতা আবদুস শুকুর বাচ্চু নেগাবান, কেন্দ্রীয় যুবদলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক লায়ন নুরুল ইসলাম খান মাসুদ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক কে এম কামরুজ্জামান নান্নু ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম মাওলা শাহীন।

Bootstrap Image Preview