বাংলাদেশের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর বেআইনি ও স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ড বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবী।
রবিবার (১১ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এ রিট করেন।
মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, চাঁদপুরের রাসেল হোসেন ও ময়মনসিংহের মো. খায়রুল হাসান সরকারের পক্ষে তিনি এ রিট করেন।
মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো গ্রাহকসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বেআইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের হয়রানি করে জানিয়ে আবেদনে তা বন্ধে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
গ্রাহকদের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা নির্দিষ্ট মেয়াদের পর পরবর্তী ইন্টারনেট প্যাকেজের সঙ্গে যোগ করা, সব ধরনের এসএমএস বাংলা ভাষায় পাঠানো, সব অফারের সঙ্গে বিস্তারিত শর্তাবলি পাঠানো এবং গ্রাহকের সম্মতি ব্যতীত কোনো প্যাকেজ বা অফার চালু না করতেও রিটে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
একই সঙ্গে তরুণ সমাজের জন্য ক্ষতিকর সীমিত সময়ের ইন্টারনেট প্যাকেজ অফার, গ্রাহকদের মোবাইলে অনবরত বাণিজ্যিক এসএমএস বার্তা পাঠানো বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
গ্রাহকদের মোবাইল নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য বাণিজ্যিক কোম্পানির কাছে হস্তান্তর না করা, প্রতারণামূলক রিচার্জ অংক যেমন ১৯, ৩৯, ৪৯, ২১ ও ১১ ইত্যাদি সংখ্যার মাধ্যমে কোনো প্যাকেজ নির্ধারণ না করতেও রিটে আদেশ চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে ৮ কিংবা ২৪ ঘণ্টা বা ৭ দিন কিংবা ১২ দিনের কোনো স্বল্প সময়ের অফার না রাখতে বলা হয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে। গ্রাহকের পূর্বানুমতি ছাড়া ২৮২৮, ২০০০ কিংবা ২৩২৩ এসব নম্বর থেকে কল না করতেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া সব পর্নোগ্রাফিসহ অন্যান্য অনাকাক্সিক্ষত সাইটগুলো বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স রেগুলেটরি অথরিটিকে (বিটিআরসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে একটি নোটিশ দেয়া হয়। ওই নোটিশ পাওয়ার দু’দিনের মধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।