Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চট্টগ্রামের পরিবহনগুলোতে এখনো ফেরেনি শৃঙ্খলা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:৩১ PM
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:৩১ PM

bdmorning Image Preview


বশির আল মামুন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামে বিভিন্ন ধরনের ২ লাখ ২৫ হাজার যানবাহন থাকলেও ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই প্রায় লক্ষাধিক চালকের। ফলে লাইসেন্সবিহীন কম বয়সী অদক্ষ চালক ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণে ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। 

বিআরটি'র বারবার অভিযান, পুলিশের ট্রাফিক সাপ্তাহ পালন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরও চট্টগ্রামে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরেনি। এখনও ত্রুটি নিয়ে চলছে ৮০ শতাংশ যানবাহন। এ কারণে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। 

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে একাধিক লোক ভর্তি হচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ মারা যাচ্ছে। কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করছে। বিশেষ করে নগর ও বাইরের সড়কে চলাচলরত ট্রাকগুলো সড়ক সড়ক আইন মানছেননা বলে অভিযোগ।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী উঠানো, সহকারী দ্বারা যানবাহন চালানো, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে অটো রিক্সা , ব্যাটারী চালিত রিক্সা, নসিমন-করিমন, ভটভটি ও অবাধে মোটর সাইকেল চালানোসহ ট্রাফিক আইন অমান্য করে সড়ক পারাপারের কারণে ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।

বিআরটি'র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জিয়াউল হক মির জানান, অভিযানে আমরা ৮০ শতাংশ যানবাহনের ক্রটি পেয়েছি। রুট পারমিট, লাইসেন্স, হেলমেট,রেজিষ্ট্রেশন, যানবাহন বীমা, হাইড্রোলিক হর্ণের জন্য জরিমান করা হয়েছে।

সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবির আন্দোলনের পর সারাদেশের মতো চট্টগ্রামে ৫ থেকে ১৩ আগষ্ট পর্যন্ত ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করা হয়। এ সময়ে যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ১১ হাজার ৭১২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার বিপরীতে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৯৯৪টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন জব্দ করা হয়।

সম্প্রতি নগরীতে চলাচলরত গণপরিবহনের রুট জরিপ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন পুলিশ। এতে বলা হয় গনপরিবহনে রুট পারমিট দেয়া আছে ১ হাজার ১৩৪টি বাস, ১ হাজার১৪১টি হিউম্যান হলার, ও ১ হাজার ৬৬০টি অটো টেম্পোর। এর মধ্যে বাস ৭৭০টি, হিউম্যান হলার ৭৫২টি এবং অটো টেম্পো ৮৬৭টি জরিপে অংশ নেন। এতে ১৪৮টি বাস, ১২০টি হিউম্যান হলার ও ৪০৮টি অটো-টেম্পোর ক্রটি ধরা পড়ে। এ জরিপে ৩৬৪টি বাস, ৩৮৯টি হিউম্যান হলার ও৭৯৩টি অটো-টেম্পো অংশ গ্রহণ করেনি।

বিআরটিএ উপ-পরিচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় ২ লাখ ২৫ হাজার যানবাহন আছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৯৪ হাজার জন চালকের চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। ৩০ হাজার চালকের লাইসেন্স নবায়ন হয় না দীর্ঘদিন ধরে।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে বিআরটিএ এর অনুমোদিত ১৬ ধরনের যানবাহনের মধ্যে ১ লাখ ৫ হাজার আছে মোটরসাইকেল। ৪৫ হাজার আছে সিএনজি অটোরিক্সা। বাস আছে ১ হাজার ১৩৪টি। হিউম্যান হলার আছে ১ হাজার ১৪১ টি।অটো টেম্পো আছে ১ হাজার ৬৬০টি। বাকী গুলো ট্রাক, প্রাইভেট কার জীপ সহ অন্যান্য যানবাহন। প্রতিদিন চট্টগ্রামে ১৫ থেকে ২০ টি নতুন গাড়ির জন্য আবেদন জমা পড়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কুসুম দেওয়ান বলেন, নগরীতে যাতে ক্রটিপূর্ণ যানবাহন চলতে না পারে সেদিকে সতর্ক আছে ট্রাফিক বিভাগ। ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে প্রতিদিন যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
 

Bootstrap Image Preview