Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সংঘর্ষের পর এবার ৫ দফা দাবিতে কওমি ছাত্র-শিক্ষকদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৪ PM
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


তাবলিগের সঙ্গে সংঘর্ষের পর এবার পাঁচ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করেছেন কওমি মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষকরা।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা শহরের টিএ রোড অবরোধ করে রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা।

শহরের টিএ রোডের কান্দিপাড়া মাদ্রাসা মোড়ে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ের লক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন ছাত্ররা। অবরোধের কারণে শহরের প্রধান এ সড়কটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

ছাত্র-শিক্ষকদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাওলানা সাদ কন্ধলভি সমর্থকদের প্রধান নেতা মাওলানা আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল কবিরকে প্রত্যাহার, সাদ কন্ধলভি সমর্থকদের সরিয়ে মার্কাস মসজিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওলামাদের হাতে তুলে দেয়া, সংঘর্ষে আহতদের সুচিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং যারা কওমি ছাত্র-শিক্ষকদের উপর হামলা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুর রহীম কাসেমী বলেন, শুক্রবার রাতে সাদপন্থীদের হামলায় সুপরিকল্পিতভাবে সহযোগিতা করেছেন সদর সার্কেল রেজাউল কবীর। হামলায় সহযোগিতার কারণে আমরা তার প্রত্যাহার চাই।

এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাদপন্থী নেতা মাওলানা আনিছুর রহমানকে গ্রেফতার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মার্কাজকে সাদ অনুসারী মুক্ত করা, শুক্রবারের হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণও দাবি করেন কওমি ছাত্ররা। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে মিছিল করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মুফতি এনামুল হাসান বলেন, কওমি মাদরাসা ছাত্র ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বেশ কয়েকটি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা অঘোষিতভাবেই মাঠে নেমে পড়েছেন। বিকেলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসবো। যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। আমরা তাদেরকে বলেছি বিষয়গুলো দেখা হবে। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

Bootstrap Image Preview