Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ রবিবার, মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অবশেষে পূরণ হচ্ছে হৃদয় সরকারের স্বপ্ন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৫৮ AM
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৫৮ AM

bdmorning Image Preview


স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পুরণ হচ্ছে মায়ের কোলে চড়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ‘সেরিব্রাল পালসি’তে আক্রান্ত হৃদয় সরকারের।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি সব অনুষদে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা কোটা সুবিধা পাবেন বলেও ডিনস কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গত ২১ সেপ্টেম্বর কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। মায়ের কোলে চড়ে পরীক্ষা দিতে আসেন হৃদয়। মায়ের কোলে চড়ে প্রতিবন্ধী হৃদয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলে মেধাবী হৃদয় সরকারের এ প্রচেষ্টার কথা।

কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় হৃদয় সরকার আশানুরূপ ফল করতে পারেননি। ভর্তি পরীক্ষায় তার সিরিয়াল নম্বর হয় ৩ হাজার ৭৪০। কিন্তু ‘খ’ ইউনিটে আসন রয়েছে ২ হাজার ৩৮৩টি।

গত সোমবার দুপুর ২টায় কলা অনুষদে ‘খ’ ইউনিটে উত্তীর্ণ ওয়ার্ড, খেলোয়াড় ও প্রতিবন্ধী কোটাধারীদের মনোনয়ন সংগ্রহের জন্য ডাকা হয়। অনুষদের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ৯ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে ডাকা হয়েছে মনোনয়ন সংগ্রহের জন্য। এর মধ্যে ৪৫৮৪ মেধাক্রমেও রয়েছেন একজন। কিন্তু ৩৭৪০ মেধাক্রমে থেকেও হৃদয় সরকার মনোনয়ন সংগ্রহের ডাক পাননি।

ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, নিয়ম অনুযায়ী দৃষ্টি, শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীদের জন্যই কেবল প্রতিবন্ধী কোটা বরাদ্দ ঢাবিতে। এর বাইরে অন্য কোনো শারীরিক প্রতিবন্ধীর জন্য ঢাবিতে ভর্তির কোনো কোটা দেয়ার নিয়ম নেই। এই নিয়ম অনুযায়ী সরকারিভাবে প্রতিবন্ধী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েও হৃদয়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ঢাবিতে ভর্তির দরজা। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিবন্ধী কোটার বিধিতে পরিবর্তন আনে। শারীরিক প্রতিবন্ধীকে নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে। পূর্বে শুধু দৃষ্টি, শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীদের কোটার সুযোগ দেয়া হতো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন এমন সংবাদ পেয়ে হৃদয় সরকার বলেন, আমি প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। তারা যুগোপযোগী একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে যারা শারীরিকভাবে অক্ষম তারা অনুপ্রেরণা পাবেন। তারা ভাববে যে আমি যদি পড়ালেখা করি তা হলে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারব। আমি মনে করি এ অনুপ্রেরণায় যারা শারীরিকভাবে অক্ষম তারা অনুপ্রেরণা পাবেন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী এতদিন আমাদের নীতির বাইরে ছিল। আমরা বিদ্যমান যে কোটা সুবিধা নীতিমালা, সেখানে এটি সংযোজন করেছি, যাতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া থেকে বঞ্চিত না হয়।

Bootstrap Image Preview