Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নিজের মাকে এই ৭টি প্রশ্ন করুন আজই!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৩১ PM
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৩১ PM

bdmorning Image Preview


মায়ের স্বাস্থ্যের ওপর সন্তানের স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভর করে। সব স্বাস্থ্য সমস্যার পেছনে বংশগতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে না। কিন্তু আপনার মায়ের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো জানা থাকলে আপনার চিকিৎসা করা ডাক্তারদের জন্য অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। ভবিষ্যতে আপনার কী কী সমস্যা হতে পারে তা জানা যায় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া যায়।

মায়ের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে জানতে আজই তাকে করুন এই ৭টি প্রশ্ন-

১) আপনার হৃদস্বাস্থ্য কেমন?

আপনার মায়ের কোনো হৃদরোগ আছে কিনা, পরিবারের কেউ স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিলেন কিনা- এ তথ্য জেনে নিন আপনার মায়ের থেকে। ৫৫ (পুরুষ) বা ৬৫ (নারী) বছর বয়সের আগে এভাবে কেউ মারা গিয়েছিলেন কিনা সেটাও জেনে নিন। এ থেকে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার হৃদরোগ হবার ঝুঁকি কতটুকু।

২) পিরিয়ড এবং মেনোপজ নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

মা এবং কন্যার মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল অনেকটাই এক রকম হয়। তার যদি একটু বেশি বয়সে পিরিয়ড শুরু হয়, আপনারও তা হতে পারে। এছাড়া তার যে বয়সে মেনোপজ হয়েছে, আপনারও সে বয়সেই হতে পারে। এছাড়া তার পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম আছে কিনা সেটাও জেনে নিতে পারেন। মায়ের এ সমস্যাটি থাকলে আপনারও হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

৩) আপনার গর্ভধারণ বা প্রসবে কোনো সমস্যা হয়েছিল কী?

ফার্টিলিটি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা, প্রসব, ব্রেস্টফিডিং বা পোস্টপারটাম কোনো সমস্যা থাকলে আপনি নিজের প্রজনন স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও অনেকটা বুঝতে পারবেন। এক্ষেত্রে অনেক সমস্যাই বংশগত হয়। যেমন সারভাইক্যাল ইনসাফিশিয়েন্সি, সময়ের আগেই প্রসব বেদনা বা বারবার গর্ভপাত।

৪) আপনার কখনো ক্যান্সার হয়েছে?

আপনি জন্ম নেবার আগে বা আপনি যখন অনেক ছোট তখন হয়তো আপনার মায়ের ক্যান্সার হয়েছিল এবং তা সেরেও গেছে, তা হয়তো আপনি জানেন না। কিন্তু এসব ব্যাপারে জেনে রাখা উচিত। ওভারিয়ান ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার- এ ধরণের ক্যান্সারগুলো মায়ের থাকলে মেয়েরও হবার ঝুঁকি বেশি।

৫) আপনার কী মাইগ্রেনের ব্যথা হয়?

মাথাব্যথা কমবেশি সবারই হয়। কিন্তু মাইগ্রেন সাধারণ কোনো মাথাব্যথা নয়। এর পাশাপাশি চোখ ঝাপসা দেখা, বমি ভাব এবং আলোক সংবেদনশীলতাও থাকে। মাইগ্রেনের ব্যথা ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকে এবং রোগী ক্লান্ত থাকে কয়েকদিন পর্যন্ত। মাইগ্রেনে যারা আক্রান্ত হন তাদের ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রেই সমস্যাটি বংশগত। আপনি যদি জানেন আপনার মা বা পরিবারে অন্য কারও মাইগ্রেন আছে, তাহলে আপনার মাইগ্রেন হলে তা ধরতে পারবেন এবং সঠিক চিকিৎসা নিতে পারবেন।

৬) আপনার ত্বকে কোনো সমস্যা আছে?

মায়ের ত্বকে কোনো আঁচিল ছিল কিনা, তিনি তা অপসারণ করেছেন কিনা, তার ত্বকে কখনো ক্যান্সার ছিল কিনা এটা জানা জরুরী। এমন সমস্যার কথা জানা থাকলে প্রতি বছর আপনি নিজের ত্বক পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।

৭) আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ইতিহাস কেমন?

এ ব্যাপারে কথা বলতে আসলে অনেক মানুষই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, পরিবারের সদস্যদের সাথে তো নয়ই। কিন্তু তা খুবই জরুরী। আপনার মা যদি কখনো ডিপ্রেশন বা এ ধরণের কোনো সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে আপনারও জেনে রাখা জরুরী। কারণ এসব সমস্যা পরিবারের সবাইকে প্রভাবিত করে।

কী করে কথা বলবেন?

হুট করে মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা শুরু করে দেওয়া যায় না। তার সাথে সম্পর্ক ভালো হলে কাজটি সহজ হয়ে যায়। কিন্তু মায়ের সাথে অনেকেই খুব একটা ঘনিষ্ঠ নন। সেক্ষেত্রে এই আলোচনা বিব্রতকর হতে পারে এমনকি এ থেকে ঝগড়া পর্যন্ত হতে পারে।

প্রথমত এমন একটি স্থান ও সময় বেছে নিন যাতে অন্তত এক ঘণ্টা আপনাদের কথোপকথনে কেউ নাক গলাতে না পারে। তাকে বোঝান, যে এসব তথ্য জানাটা আপনাদের দুজনের জন্যই উপকারী। যত দ্রুত মায়ের সাথে এ ধরণের আলোচনা করা যায়, ততই ভালো।

Bootstrap Image Preview