শান্তিপূর্ণ উপায়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দাবি আদায় করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এমন অবস্থায় কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে দায় ভার সরকারের। কারণ বল এখন সরকারের কোর্টে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে তার বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
কামাল হোসেন বলেন, আজকের সংলাপে আমরা ৭ দফা দাবি নিয়ে সীমিত পরিসরে আলোচনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেছি।
তিনি আরও বলেন, গায়েবি মামলা প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যতে ঐক্যফ্রন্ট নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ২য় বারের মত প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে বসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বেড়িয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী অবায়দুর কাদের জানিয়েছেন, তারা আজকে যে দাবিগুলো নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী তার বেশির ভাগ দাবিই মেনে নিয়েছেন। তারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে, সে বিষয়ে তার ঐক্যমত চান।
তিনি বলেন, তারা চেয়েছেন সংসদ ভেঙে দিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন। এছাড়া তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও রাজবন্দিদের মুক্তি চেয়েছেন, এ বিষয়ে তাদের দাবি মেনে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন সম্পর্কে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে তারা যা বলেছেন, তা আমাদের দেশে চালু নেই। তবে নির্বাচনে সেনাবাহিনী টাস্কফোর্স ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে।
গণভবনে সংলাপ শেষে ড. কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠকে বসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মহসীন মন্টু প্রমুখ।