জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই না। কারণ শেখ হাসিনার হাত থেকে আমাদের মুক্তি কবে, সেটা আগে নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়ার দরকার নাই। কারণ তিনি জেলে গিয়ে জননেতায় পরিণত হয়েছেন।
সদ্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়া কাদের সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আল্লামা শফীর সঙ্গে বসেন, সমাবেশ করেন, আমি কাদের সিদ্দিকী ভুলি নাই। শাপলা চত্বরে রক্তের স্রোত ভুলি নাই।’
তিনি আরও বলেন, ৭ মার্চ এ সোহরাওয়ার্দীর মাঠে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতার পথ উন্মুক্ত হয়েছিল। আজ এ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকেই খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ উন্মুক্ত হবে। গণতন্ত্র মুক্তির পথ উন্মুক্ত হবে।
জনসমাবেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আগামীকাল বুধবার যে সংলাপ হবে, সে সংলাপে শুধু মুখে নয়, লিখিত অঙ্গীকার করতে হবে।
তিনি বলেন, কারও নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া যাবে না, গ্রেফতার করা যাবে না, কোনও গায়েবি মামলা দেওয়া যাবে না।
গত ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপে রাজনৈতিক মামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তালিকা চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সংলাপে মির্জা ফখরুলের কাছে তালিকা চেয়েছেন, তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন একদিকে, অন্যদিকে নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
মান্না বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য লড়াই করবো, তার জন্য জীবন দেবো, তাকে মুক্ত করে ছাড়বো।’ এ সময় সমাবেশজুড়ে ব্যাপক স্লোগান তোলেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা। মান্না তখন বলেন, ‘এই স্লোগানের ভিডিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ও ডিএমপি কমিশনারের কাছে পাঠানো হোক, তারা দেখুক, খালেদা জিয়া কত জনপ্রিয়।
দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস কর্মীদের সম্মিলিত সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বিকেল ৩টার সভামঞ্চে উপস্থিত হন। এর আগে সভামঞ্চে উপস্থিত হন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুর রব, সুলতান মো. মনসুর, মোস্তফা মহসীন মন্টু, আবদুল মালেক রতন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান প্রমুখ।