Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বালিয়াডাঙ্গীতে আলু চাষে বাড়তি ঝুঁকি নিচ্ছে কৃষক

আল মামুন জীবন, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ১১:২৩ AM
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ১২:২২ PM

bdmorning Image Preview


বিগত বছরের ব্যাপক লোকসানকে উপেক্ষা করে চলতি আলু আবাদ মৌসুমে আবারও মাঠে আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কৃষক-কৃষাণীরা। গত বছরের লোকসান থেকে মুক্তি পেতে এবার আলু চাষে বাড়তি ঝুঁকিই নিচ্ছেন তারা।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেশির ভাগ কৃষক বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও ও সমবায় সমিতির নিকট হতে টাকা ঋণ নিয়ে চাষাবাদে ব্যয় করে। গত আলু আবাদ মৌসুমে আলুর ভালো দাম না পাওয়ার কারণে অনেক কৃষক আলু আবাদের জন্য গৃহিত ঋণের টাকা এখনও সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে পারেনি। দীর্ঘ একটি বছর পরিবার পরিজন নিয়ে নানান কাজে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তপন মাহমুদ জানিয়েছে, এ বছর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৩ হাজার ৮শ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং আলুর সব ধরণের পরিচর্যা শেষ করতে পারলে বাম্পার ফলনের সাথে ভাল দাম পাবেন কৃষক। যা দিয়ে বিগত বছরের লোকসানের গ্লানি মুছতে সক্ষম হবেন উপজেলার কৃষক-কৃষাণীরা। এছাড়াও চলতি মৌসুমে আলু চাষীদের ঘুরে দাড়াতে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে বালিয়াডাঙ্গী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

বড়বাড়ী ইউনিয়নের কৃষক ইসমাইল হোসেন জানান, আমি এক একর জমিতে আলু রোপন করেছি। আলুর বীজের দাম বেশি হওয়ার কারণে এবছর এক একর জমিতে আলু রোপণ করতে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আলুর গাছ বড় হওয়ার সাথে আগাছা পরিষ্কার, সেচ দেওয়া, পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা পেতে স্প্রে প্রদানসহ আরও ১০-১৫ হাজার খরচ হবে। এলাকায় সার ও কীটনাশকের সরবরাহের সমস্যা না থাকায় আলুতে ভাল ফলনের আশা করছেন তারা।

উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের আলু চাষী মোবারক হোসেন জানান, এ বছর আগাম ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শীত পড়া নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরণের সমস্যায় না পড়লে আলুর ভাল ফলনের পাশাপাশি দামের আশা করছি আমরা।

চাড়োল ইউনিয়নের আলু চাষী নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছর দেড়লাখ টাকা লোকসান হয়েছিল আলু চাষে। তবে শেষের দিকে কয়েকটি জমির আলুতে ভাল দাম পাওয়া গিয়েছিল। তবুও গত বছরের লোকসান মিটিয়ে পুনরায় ঘুরে দাড়ানোর জন্য এ বছরও প্রায় দুই একর জমিতে আলু চাষ করেছি।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি অফিসার শাফীয়ার রহমান বলেন, এ বছর আলুর বীজের দাম একটু বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের সাথে দাম এবং লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জন সম্ভব হবে।  

Bootstrap Image Preview