'বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকবে ভারত'

দীর্ঘ দিন ধরে এই দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রয়েছে জানিয়ে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, আগামীতেও বাংলাদেশ ও ভারত তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে সকল উন্নয়নে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।

আজ রবিবার বেলা ২টায় উপজেলার নওয়াপাড়ার রামনাথপুর প্রণব মঠে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ভারতীয় হাই কমিশনারকে সংবর্ধনা প্রদান ও ১ কোটি ৫২লাখ ২৩হাজার টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত দুই দেশ একে অন্যের বন্ধু রাষ্ট্র। স্বাধীনতার পূর্ব এবং পরবর্তী সময় বাংলাদেশে নানা ভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত। এমনকি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শরণার্থীদের আশ্রায়, ত্রাণ, সেনা দিয়ে সহযোগীতা করে ছিল। 

স্বাধীনতা পরবর্তী মুজিব ও ইন্দ্রিরা চুক্তির মাধ্যমে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ তার লক্ষ্যের দিকে এগুতে থাকে বলে তিনি আরো বলেন, এখানে শেষ নয় আপনারা জানেন, ১৯৬৫ সাল থেকে খুলনা টু কোলকাতা ট্রেন চালু ছিল। কিন্তু বিগত কয়েক যুগ বছর ধরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। সাম্প্রতিক শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যৌর্থ প্রচেষ্টায় সেটি আবার চালু হয়েছে। এমনকি দু-দেশের যাত্রীদের জন্য বাস সার্ভিসও চালু হয়েছে। সেই সাথে পাচপোর্ট যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করতে বিভিন্ন উদ্যোগও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এসময় শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে চরমপন্থি দমনে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। জঙ্গী, সন্ত্রাস দমনে দেশ ও বিদেশে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। বাংলাদেশ পৃথিবীর ভূক্ষন্ডে ছোট্ট রাষ্ট্র হলেও সেটি যে ভাবে উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা অকল্পনীয়। শেখ হাসিনার সরকার চাই আগামী ২০৪১ সালে মধ্যে উন্নত দেশ গড়তে। আর ভারত সরকার আত্মসামাজিক উন্নয়ন করতে ভারত সব সময় বাংলাদেশকে সহযোগীতা করবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আ. ফ. ম রুহুল হক, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎ মিশ, সহকারী পুলিশ সুপার বিদ্রোহ, ভারতের সহকারী হাই কমিশনার রাজেশ রাইনার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল গণি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল গণি, দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী, উপজেলা আওয়ামীলী গের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারেম্যান মুজিবর রহমান, সহ-সভাপতি শরৎ চন্দ্র ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাব।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, বাংলাদেশ প্রণব মঠের অধ্যক্ষ স্বামী দিগজয়ামনন্দজী মহারাজ, ভারতের প্রণব মঠের সভাপতি স্বামী অগ্নিস্বর মহারাজ, আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ অরুন কুমার, জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি ও রামনাথপুর মঠের উপদেষ্টা মনোরঞ্জন মুখার্জী, উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি সুভাষ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার মন্ডল,  উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পদাক বিজয় ঘোষ, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, বাংলাদেশ প্রণব মঠের যুগ্ন-সম্পদক সঙ্গীতানন্দজী মহারাজ, মাদারীপুরের প্রণব মঠের অধ্যক্ষ মহিমান্দজী মহারাজ, সাতক্ষীরা জেলা পুরোহিত ও সেবাইত পরিশিক্ষক নলতা কালী মাতা মন্দিরের পুরোহিত বাবু সঞ্জয় চক্রবতী, রামনাথপুর প্রণব মঠের সহ-সভাপতি দেব প্রসাদ, জগদীশ সরকার, রবীন্দ্র ঘোষ, সদস্য অধির সরকার, গবিন্দ কুমার, রাম প্রসাদ মাল, মহাদেব সরকার, পরিতোষ ঘোষ, রাজু ঘোষ, প্রণব মঠের স্বামী সত্য প্রিয়নন্দীজী, স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন মঠের নের্তৃবৃন্দ ও শত শত ভক্তবৃন্দরা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ঢাকা উত্তরা কলেজের প্রভাষক মৃত্তঞ্জয় দাস।

উল্লেখ্য যে, ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার অর্থায়নে রামনাথপুর মঠের নির্মানার্ধীন ভবন পরিদর্শন ও উদ্বোধনের উদ্দেশ্যে আসলে তাকে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এদিকে, হাই কমিশনের আগামন উপলক্ষ্যে ভক্তদের পক্ষ থেকে ধর্মীয় ভক্তিমূলক গান পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রণব মঠের সভাপতি মহানন্দ সরকারের সভাপতিত্ব সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।