Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সড়ক নির্মাণের সময় শেষ তবে এখনও কাজ অসমাপ্ত

খুরশিদ আলম শাওন, রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:১৯ PM
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:১৯ PM

bdmorning Image Preview


ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল পৌরসভার অধীনস্থ জাপান বাংলাদেশ কো-অপারেশন এর অর্থায়ানে নবিদেপ প্রকল্পের নতুন ও পুরনো সড়ক নির্মাণের সময় শেষ তবে কাজ এখনো অনেকটাই অসমাপ্ত রয়ে গেছে।

পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ৭টি এলাকা জুড়ে সড়কের কোথাও খোয়া ফেলে রাখা হয়েছে আবার কোথাও মাটি খনন করে নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত করে রাখা হয়েছে। আর এ কারণে পৌরবাসীর সড়ক চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ সড়ক নির্মাণের কাজটি টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিাকারদার হিসেবে নিয়োগ পান সিরাজগঞ্জের মির্জা কন্সাট্রাকশনের সত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম। তবে তার পরিবর্তে সড়ক নির্মাণের কাজটি করছেন একই এলাকার ঠিকাদার সুইট।

পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাবেদ আলী জানান, নবিদেপ প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী মির্জা কন্সট্রাকশন মোট দুই কোটি ৯০ লাখ ৭০ হাজার টাকাই ৬ কিলোমিটার ৩৭২ মিটারের কাজ গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে শুরু করার কথা থাকলেও তিনি ৬ সেপ্টেম্বর শুরু করেছিলেন। তবে কাজ শেষ করার সময় নির্ধারণ করা ছিলো ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে অথ্যাৎ এক বছরের মধ্যে।

সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সড়কের ডায়বেটিকস মোড় হতে সাবেক মেয়র মোখলেসুর রহমানের বাসভবন আবার সেখান থেকেই রংপুরিয়া মার্কেট হতে খুনিয়া দীঘি মোড় সেখান থেকে বিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রগতি ক্লাব হতে বর্তমান মেয়র আলমগীরের বাড়ী যাওয়ার ৭৫২মিটার সড়ক। আবার চাদনী থেকে রংপুরিয়া মার্কেট পর্যন্ত সড়কটিতে(ডব্লিউ এম) খোয়া ফেলে রাখা হয়েছে প্রায় মাস দুয়েক ধরে বলে স্থানীয়রা জানান।

একই সাথে পাইলট স্কুল গেট থেকে জয়কালির বাজার যাওয়ার ৫৫০ মিটার সড়কটির কাজ চলমান রয়েছে। একইভাবে চাদনী জামে মসজিদ হতে সোলার অফিস পর্যন্ত ৫৯০ মিটার সড়কটিতে অর্ধেক খোয়া ফেলে বাকী টুকু মাটি খনন করে রাখা হয়েছে। তবে ডিগ্রী কলেজ মোড় হতে পাইলট এলজিইডি ব্রিজ পর্যন্ত ১৫৪ মিটার সড়কটির কাজ এখনো ধরা হয়নি।

পৌরশহরের এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো নির্মাণের নামে মাসের পর মাস বেহাল করে রাখায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীর।

এ নিয়ে পৌরসভার ভান্ডারা গ্রামের মকবুল হোসেন বলেন, জরুরী কোন রোগীকে এ সড়ক দিয়ে দ্রুত নিয়ে যাওয়া যায় না। একই ভাবে মুক্তার হোসেন বলেন, দুর্ভোগের আরেক নাম পৌরসভার অর্ধনির্মিত সড়ক। তিনি বলেন, বেহাল করে রাখা সড়কে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, অফিস-আদালতগামী ও সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ নিয়ে পৌরবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিস্তার করছে।

তবে মির্জা কন্সট্রাকশনের সাব-ঠিকাদার সুইট  রবিবার  মুঠোফোনে জানান, আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ আছি যে কাজ এখন পর্যন্ত করেছি সে অনুযায়ী ৫৯ লাখ টাকা বিল পাই সে বিলটি দিলে আমার জন্য সুবিধা হয়। তারপরও আমি সিরাজগঞ্জ থেকে পাথর ও বিটুমিন নিয়ে গিয়ে খুব শ্রীঘই কার্পেটিং শুরু করবো।

এ নিয়ে পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইসাহাক আলী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি ঠিকই। তবে নিয়ম অনুযায়ী তিনি আরো ৭৩ দিন সময় পাবেন। সে-সময়ের মধ্যে সড়কের কার্পেটিংসহ সমস্ত কাজ শেষ করবে বলে আমরা প্রত্যশা করছি।

জাইকার দিনাজপুর অঞ্চলের ডিপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর লুৎফর রহমানআজ রবিবার মুঠোফোনে বলেন, ঠিকাদার সময়মত কাজ করতে না পারলে তার পরবর্তী সময়ে কাজের জন্য জরিমানা হবে।
 

Bootstrap Image Preview