Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় ফের মামলা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০২:০০ PM
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০২:০০ PM

bdmorning Image Preview


গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ফের মামলা দায়ের হয়েছে।এ নিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল সৃষ্টি করে জমি দখল এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন, চাঁদা দাবি, মাছ চুরি, ফল চুরিসহ নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আশুলিয়া থানায় ছয়টি মামলা দায়ের হলো।

গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি জিগাতলা এলাকার বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে ৬ষ্ঠ অভিযোগটি (নং-৪) দায়ের করেন। পরে আজ শনিবার ভোররাতে অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করে পুলিশ।

মামলার আসামিরা হলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম শিশির, সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম এবং স্থানীয় টাকশুর এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে আওলাদ হোসেনসহ (৪৮) অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাভারের মির্জানগর এলাকায় লেজার মেডিকেলের মালিক ডা. জাহানারা ফেরেদৌস খানের প্রায় ২ একর জমি রয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর লিগ্যাল অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন সেই জমিটি দেখতে মির্জানগরে যান।

এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে মো. সাইফুল ইসলাম শিশির, আব্দুস সালাম এবং আওলাদ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী বাদীর কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা বাদীসহ জমির তত্বাবধায়ককে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তিনি হামলায় আহত হয়ে মামলাটি করেছেন। তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম মামলাটিকে গায়েবি মামলা বলে উল্লেখ করেছেন।

আব্দুস সালাম বলেন, ‘বাছ বিচার ছাড়াই একের পর এক মামলা দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র দখলের পায়তারা করা হচ্ছে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগে চারটি অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কোনটিই মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি।’

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেওয়া অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সর্বশেষ মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেয়েই মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে।

ইতিপূর্বে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে সেনাপ্রধান সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য দেওয়ায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। গত ১২ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মেজর এম রাকিবুল আলম একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই সাধারণ ডায়েরিটি গত সোমবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

Bootstrap Image Preview