গেলো ৩০ অক্টোবর রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন মিজ আয়ারল্যান্ডখ্যাত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মডেল ও অভিনেত্রী মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে মুখ খোলার পর থেকেই প্রিয়তিকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
প্রিয়তি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশী কমিউনিটির একটা গ্রুপ আমার চরিত্র নিয়ে পোস্ট মর্টেম শুরু করেছে। আচ্ছা, আমি কি আপানাদের কোন ক্ষতি করেছি? আপনাদের কোন এক পয়সা মেরে খেয়েছি? আপনাদের কাছে কখনো হাত পেতেছি? আপনাদের কাউকে নিয়ে কোন বদনাম করেছি? আপনাদের সাথে কোন ধোঁকা দিয়েছি? আমার দোষটা কি? আমার দোষ হল, কেন আমি সিঙ্গেল প্যারেন্ট, তাইতো? কেন আমার এক্স এর সাথে ব্রেক আপ হল, তাইতো? কেন আমি মিস আয়ারল্যান্ড হলাম, কেন মডেলিং করি? তাইতো? আমার শরীরের চামড়া দেখা যায়, তাই আমি চরিত্রহীন? কেন পর্দা করিনা তাই আমি চরিত্রহীন? আপনারা তো একপক্ষ শুনে আমাকে বিচার করে ফেলেছেন, নিজেরা নিজেরা সুন্দর ভাবে আরও গল্প বানিয়ে ফেলেছেন, কিছুটা কান নিয়েছে চিলে এমন ঘটনার মতো। কেউ কি আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করে কোন ঘটনা জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেছেন?’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘খুব সোজা কাউকে জাজ করা যায় তাইনা? আবার তার থেকে মজাও নেয়া! আপনাদের থেকে আমার ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট নিতে হবে? তাহলে আসুন, আমার দুই বাচ্চাকে আপনার এসে পালুন, আর না পারলে তাদের বাবাকে বলুন এসে পালতে। যেই বাবা বাচ্চাদের ভরণপোষণ দিতে হবে বলে আর এক রাত বাচ্চাদের নিয়ে রাখতে হবে বলে চার বছর ধরে বাচ্চাদের মুখ দেখে না আর কোন যোগাযোগ রাখে না, অথচ একই শহরে থাকে।’