জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গত ১ জুন কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত বুধবার (৩১ অক্টোবর) মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও এদিন পুলিশ তা দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্র জানায়,গত ৪ জুন সন্ধ্যায় গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ৫ জুন রাতে আসিফকে তার মগবাজারের অফিস থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলায় আসিফ ছাড়াও আরও অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়,১ জুন রাত ৯টার দিকে একটি বেসরকারি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মামলার বাদী (শফিক তুহিন) জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তার সঙ্গীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
এরপর মামলার বাদী ২ জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। বাদীর ওই পোস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন ১০টার দিকে আসিফ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাখ লাখ মানুষ তার লাইভে আসেন। লাইভে বাদীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। আসিফ লাইভে বাদীকে শায়েস্তা করবেন বলেও হুমকি দেন।
একই সঙ্গে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, শফিক তুহিনকে (বাদী) যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আসিফের ওই বক্তব্যের পর তার ভক্তরাও ফেসবুকে শফিক তুহিনকে হুমকি দেন।