Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মেন্যুতে থাকছে ড. কামালের বিশেষ পছন্দের খাবার, র‍্যাডিসন থেকে আসবে ‘চিজ কেক’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৫০ PM
আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১১:১৩ PM

bdmorning Image Preview


গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের  ১৭ পদের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, খাবারের মেন্যুতে ড. কামাল হোসেনের বিশেষ পছন্দের খাবার চিজ কেক, পিয়ারু সর্দারের মোরগ পোলাও, চিতল মাছের কোপ্তা, রুই মাছের দো-পেঁয়াজা, চিকেন ইরানি কাবাব, বাটার নান, মাটন রেজালা, বিফ শিক কাবাব, মাল্টা, আনারস, জলপাই ও তরমুজের ফ্রেশ জুস, চিংড়ি ছাড়া টক-মিষ্টি স্বাদের কর্ন স্যুপ, চিংড়ি ছাড়া মিক্সড নুডলস, মিক্সড সবজি, সাদা ভাত, টক ও মিষ্টি উভয় ধরনের দই, মিক্সড সালাদ, কোক ক্যান এবং চা ও কফি।

এর মধ্যে হোটেল র‌্যাডিসন থেকে আনা হচ্ছে ড. কামাল হোসেনের বিশেষ পছন্দের খাবার ‘চিজ কেক’। অাপ্যায়নের বিষয়টি তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী-১ (এপিএস-১) এবং প্রটোকলের চৌকস কর্মকর্তারা। খাবারের ব্যবস্থাপনায় থাকছে পর্যটন কর্পোরেশন।

সূত্র জানায়, ড. কামাল হোসেনকে সংলাপের চিঠি পৌঁছে দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ তার পছন্দের খাবার সম্পর্কে জানতে চান। তবে, ড. কামাল চিজ কেক ছাড়া বিশেষ কিছু বলেননি। এর আগের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ফোন করে আব্দুস সোবহানকে ড. কামালের পছন্দের খাবারের কথা জেনে আসতে বলেন।

এছাড়াও খাবারের মেন্যুতে আরও থাকছে পিয়ারু সর্দারের মোরগ পোলাও, চিতল মাছের কোপ্তা, রুই মাছের দো-পেঁয়াজা, চিকেন ইরানি কাবাব, বাটার নান, মাটন রেজালা, বিফ শিক কাবাব, মাল্টা, আনারস, জলপাই ও তরমুজের ফ্রেশ জুস, চিংড়ি ছাড়া টক-মিষ্টি স্বাদের কর্ন স্যুপ, চিংড়ি ছাড়া মিক্সড নুডলস, মিক্সড সবজি, সাদা ভাত, টক ও মিষ্টি উভয় ধরনের দই, মিক্সড সালাদ, কোক ক্যান এবং চা ও কফি।

ড. কামালের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার যাবেন সংলাপে অংশ নিতে। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনের নিচতলার কনফারেন্স রুমে এ সংলাপ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের পক্ষে অংশ নেবেন ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদল। ১৪ দলের পক্ষে প্রথমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংলাপে ২১ জনের অংশ নেয়ার কথা জানানো হলেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ২২ সদস্যর প্রতিনিধিদল অংশ নেবেন বলে জানায় আওয়ামী লীগ।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও বিকল্পধারা এবং জাতীয় পার্টির আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকেও সংলাপে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিকল্পধারার সংলাপ হবে ২ নভেম্বর এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সংলাপ হবে ৫ নভেম্বর।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংলাপে উপস্থিত থাকবেন ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, দিলীপ বড়ুয়া , রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মাঈনুদ্দিন খান বাদল, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, মাহবুবউল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আব্দুর রহমান, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, হাছান মাহমুদ, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।

এর আগে মঙ্গলবার মতিঝিলে প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের এক বৈঠকে সংলাপে ১৬ সদস্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের দলনেতা হিসেবে থাকবেন ড. কামাল হোসেন।

বিএনপি থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার রয়েছেন।

নাগরিক ঐক্য থেকে রয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না ও এসএম আকরাম।

গণফোরাম থেকে রয়েছেন মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী। জেএসডি থেকে আছেন আ স ম আব্দুর রব, আব্দুল মালেক রতন ও তানিয়া রব।

ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে আছেন সুলতান মুহাম্মদ মনসুর ও আ ব ম মোস্তফা আমিন। আর স্বতন্ত্র হিসেবে রয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

Bootstrap Image Preview