রংপুরের বদরগঞ্জের মধুপুর ইউনিয়নের কাশিগঞ্জ গ্রামে ফুল আর চকোলেটের প্রলোভনে নার্সারি ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম (৫০) এক মাস ধরে তিন শিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ধর্ষক আব্দুল হালিমকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।
ঘটনার শিকার দুই শিশু একটি মাদরাসার পঞ্চম এবং অন্য শিশু একই প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ধর্ষণের আলাদা তিনটি ঘটনা উল্লেখ করে গতকাল মঙ্গলবার এক শিশুর অভিভাবক বদরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কাশিগঞ্জ গ্রামে আব্দুল হালিমের একটি নার্সারি রয়েছে। ওই নার্সারির পাশে তিন শিশুর বাড়ি। এ কারণে প্রায় সময় দুই বান্ধবীসহ অন্য এক শিশু হালিমের নার্সারিতে ফুল নিতে যেত। এ সময় তিন শিশুর ওপর আব্দুল হালিমের চোখ পড়ে। এর মধ্যে গত শনিবার নার্সারির পাশে এক শিশুর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তাকে ফুল আর চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখায় আব্দুল হালিম। একপর্যায়ে কৌশলে ওই শিশুকে সে ধর্ষণ করে। পরদিন অন্য এক শিশু তার বাগানে গেলে তাকেও একই প্রলোভনে নার্সারির ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে আব্দুল হালিম। একই কায়দায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিশুকেও ধর্ষণ করলে ঘটনাটি গত সোমবার এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে জানাজানি হয়। এতে ভুক্তভোগী তিন শিশু তাদের সঙ্গে আব্দুল হালিম খারাপ আচরণ করেছে বলে পরিবারের লোকজনকে জানায়। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। পরে লোকজন জড়ো হয়ে আব্দুল হালিমকে তার নার্সারি থেকে ধরে এনে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
অভিযুক্ত আব্দুল হালিম বলে, ‘ওই বাচ্চারা প্রায় সময় আমার বাগান থেকে ফুল ছিঁড়তে যেত। নিষেধ করতাম; কিন্তু কোনো কথা শুনত না। তবে আমি ওই শিশুদের কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করিনি।’
এ ব্যাপারে বদরগঞ্জ থানার ওসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘আলাদাভাবে দুই শিশুর কাছ থেকে ঘটনাটি জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’