Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিএনপি ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের হাতাহাতি

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০১:২০ PM
আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০১:২০ PM

bdmorning Image Preview


বুধবার সকাল ৯টায় সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে খালেদা জিয়া সাজা বাড়ার প্রতিবাদে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের আদালত বর্জন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আওয়ামী সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের এ কর্মবিরতি শুরু হয়ে দুপুরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এসবের মধ্যেই সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের কার্যক্রম চলছে।

আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর দোতলায় আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষের সামনে গ্যাংওয়ের গেটে (সুপ্রিমকোর্টের মূল ভবনে যাওয়ার সংযোগ পথ) তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। ফলে অন্য আইনজীবীদের নিচতলার সিঁড়ি দিয়ে আপিল বিভাগে যাতায়াত করতে হয়।

বিক্ষোভ চলাকালে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বারের সভাপতির কক্ষের সামনে যান গেটের তালা ভাঙতে। উত্তেজনা তৈরি হয়, দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে তখন।

ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিকে রাজনৈতিক মঞ্চ বানিয়ে ফেলা হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আইনিভাবেই করতে হবে। আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত আইনজীবী সমিতি নেয়নি।

তিনি বলেন, আদালত বর্জন করলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা করতে পারেন। গেটে তালা দিয়ে সাধারণ আইনজীবীদের তারা বাধ্য করতে পারেন না। এ তালা ভাঙতে হবে।

জয়নুল আবেদীন বলেন, বন্দুকের মুখে রেখে তাকে রায় দেয়ানো হয়েছে। সরকারের চাপে মাথা নত করে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর রায় দেয়া হয়েছে।

‘সরকার বিচারকি আদালতকে করায়ত্ত করেছে, উচ্চ আদালতকেও করায়ত্ত করার চেষ্টা করছে। বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে সারা দেশেই আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়া হবে।’

জয়নুল বলেন, কাল রায় ঘোষণা করার সময় ওই আদালতের ডিএজি, এএজি ও সরকার সমর্থক আইনজীবী ছাড়া কোনো সাধারণ আইনজীবীকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আদালতটি ঘিরে রেখেছিল। এটিই প্রমাণ করে চাপে মাথা নত করে এ রায় দেয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview