Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অনুমোদনের অপেক্ষায় দীপন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১১:০৪ PM
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১১:০৪ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৮ জন সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে । তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ(ডিবি দক্ষিণ) ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পত্র প্রেরণ করেছে অনুমোদন মিললেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বিডিমর্নিং-কে বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, প্রকাশ দীপন হত্যা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, হত্যায় জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠস আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। তদন্তে আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তারা হলেন, মইনুল হাসান শামীম (২৪) সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আব্দুস সবুর (২৩) সাংগঠনিক নাম সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম (২৪) সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫) সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার, শেখ আব্দুল্লাহ (২৭) সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের, সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর বলে কথিত সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই ও (৮) আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮) সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ।

অন্যদিকে ডিসি মাসুদ জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ জনকে গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করেছে তারা হলেন, মইনুল হাসান শামীম, আব্দুস সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ও শেখ আব্দুল্লাহ। গ্রেফতাররা প্রত্যেকেই আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলেও জানান তিনি। তবে মামলায় এখনো পলাতক রয়েছেন সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয়তলায় ‘জাগৃতি’ প্রকাশনী অফিসে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফয়সাল আরেফিন দীপনের ঘাড়ের পেছনে আঘাত করে হত্যা করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা। ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে পৌনে ৪টার মধ্যে হত্যাকাণ্ড শেষে অফিসের অটোলক তালা লক করে পালিয়ে যায় তারা।

এ ঘটনায় ২ নভেম্বর শ্বশুর অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সহযোগিতায় দীপনের স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান বাদী হয়ে শাহাবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শাহবাগ থানার পর মামলা তদন্ত করে আসছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ(দক্ষিণ বিভাগ)।

Bootstrap Image Preview