এম. শরীফ হোসাইন, ভোলা প্রতিনিধিঃ
প্রজনন মৌসূমে মা ইলিশ শিকার বন্ধের অভিযান শেষ হয়েছে রোববার (২৮ অক্টোবর) মধ্যরাতে। ভোলা মৎস্য অফিস এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নেতৃত্বে চলে টানা ২২ দিনের অভিযান। ঐ অভিযানে মৎস্য অফিসকে সহায়তা করেছে কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ভোলায় ৪৩২ জন কেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ সময় ৩ মেট্রিক টন ইলিশ ও ৬ লাখ ২ হাজার ৭শ’ ২০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস কর্মকর্তা আহসান হাসিব খান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আহসান হাসিব খান বলেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় মূলত নদীতে মাছ বেশি থাকায় অসাধু জেলেরা ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময় নেমে থাকেন। এ বছর মৎস্য বিভাগ ও আইন-শঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আইন অমান্যকারীদের আটক করেছে।
সারা দেশের ন্যায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ৩১৮টি অভিযান, ১৯৪ টি মোবাইল কোর্ট ও ২৫৪টি মামলার মাধ্যমে ৪৩২ জন জেলেকে কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসময় ২৫৪ জন জেলের কাছ থেকে ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জেলে ও সাধারণ মানুষ বিগত সময়ের থেকে অনেকটাই সচেতন। তাদের সঙ্গে সঙ্গে মৎস্য বিভাগের জেলা ও উপজেলার প্রতিটি সদস্য এবং আইন-শঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনী সমন্বিতভাবে নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় সর্বোচ্চ নজরদারি রাখা হয়েছে, কাউকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
ইলিশ নিধন বন্ধে কঠোর নজরদারী রাখা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ শিকার বন্ধের পাশাপাশি জাটকা নিধন বন্ধ না করা গেলে ইলিশের পরিমাণ বাড়বে না। আর যদি তা না করা যায়, তাহলে বিপুল পরিমানের রাজস্ব হারাবে সরকার। তাই ইলিশের পরিমাণ বাড়াতে হলে জাটকা নিধন বন্ধ করতেই হবে বলে মনে করেন তিনি।