Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্রমিক ধর্মঘট: দুর্ভোগে সাধারণ যাত্রীসহ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:৪৮ PM
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:৪৮ PM

bdmorning Image Preview


হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতেও শ্রমিক ধর্মঘট চলছে। দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। যাতায়াতের এখন একমাত্র ভরশা ব্যাটারীচালিত ভ্যান-রিকশা। এতেও গুনতে হচ্ছে প্রয়োজনের তুলুনায় দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি ভাড়া।

এদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা। ধান-চাল ও সবজী বহন করতে পারছে না ব্যবসায়রা। পরিবহন করতে না পারায় ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের শীতকালীন সবজি।

রবিবার (২৮ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া সারা দেশের শ্রমিক ধর্মঘটে এই দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। শ্রমিক ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন সোমবার (১২৯ অক্টোবর) ফুলবাড়ী পৌর শহরের ঢাকামোড়, দিনাজপুর, রংপুর ও পার্বতীপুরগামী বাসষ্টান্ডে গিয়ে দেখা যায় সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ।

ঢাকামোড় বাসষ্টান্ডে দাড়িয়ে থাকা এক যাত্রী বলেন, তিনি তার পরিবার নিয়ে রাজশাহী থেকে ট্রেনযোগে ফুলবাড়ীতে এসেছেন। এখান থেকে তিনি দিনাজপুর শহরে যাবেন, কিন্তু বাস নাই। এ জন্য তাকে এক হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে অটোরিকশায় চেপে দিনাজপুর যেতে হচ্ছে। অথচ বাসসের ভাড়া তিন জনে মাত্র ১৮০ টাকা।

একই কথা বলেন, অপর যাত্রী শাহাদৎ আলী। তিনিও টেনযোগে নাটোর থেকে এসেছেন। এখান থেকে তাকে যেতে হবে দিনাজপুরে।

পার্বতীপুর বাসষ্টান্ডে দাড়িয়ে থাকা এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, তাকে প্রতিদিন ১২০ টাকা ভাড়া দিয়ে ব্যাটারিচালিত রকশায় অফিস যেতে হচ্ছে। একই অবস্থা বিরামপুরসহ আশপাশ এলাকার যাত্রীদের।

ফুলবাড়ী বাসষ্টান্ডগুলো ঘুরে দেখা যায়, ষ্টান্ডে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে আছে আন্তঃজেলা চলাচলরত যাত্রীবাহী বাসগুলো। সেখান থেকে কোন যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি, এমনকি কোন মাইক্রোবাসও ভাড়া নিয়ে যায়নি।

দিনাজপুর মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার যুগ্ম-সম্পাদক সেকেন্দার আলী দুলাল বলেন, শ্রমিকরা ফাঁশির আইন গলায় ঝুলিয়ে বাস চালাতে চায় না। আইনের ধারা সংশোধন করার দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রিয় কমিটির ঘোষিত কর্মসূচি তারা পালন করছেন।

শ্রমিকনেতা মেহেদুল ইসলাম বলেন, এই কর্মসূচি শ্রমিকদের জীবন রক্ষার কর্মসূচি। আমি একজন চালক, আমি এই কালো ধারা বাতিল চাই। কারণ আমি ফাঁশির মঞ্চে উঠতে চাই না। একই কথা বলেন আরও বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতা।

Bootstrap Image Preview