সড়ক পরিবহন আইন বাতিল ও ৮ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের আজ সোমবার দ্বিতীয় দিন। সারা দেশের ন্যায় পরিবহন ধর্মঘটে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জেও অচলবস্থা বিরাজ করছে।
সকাল থেকে ফেঞ্চুগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে কোন ধরনের গণপরিবহন চলছে না। এতে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ী, অফিস, স্কুল-কলেজ ও সিলেটগামী মানুষ। এদিকে মাইজগাঁও বাজার পয়েন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মানুষদের দীর্ঘক্ষণ গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকেই যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের পথে ছুটেছেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ফেঞ্চুগঞ্জ (মাইজগাঁও) বাজার, বিয়ালীবাজার, মাইজগাঁও খেলার মাঠের পাশে, থানারোড পয়েন্ট এবং ফেরিঘাটে শ্রমিকরা সোমবার সকাল থেকে অবস্থা নিয়ে যানবাহন আটকে ধর্মঘট পালন করছে। তাদের কাছ থেকে রেহাই পায়নি রিক্সা ও জরুরী ঔষধ সরবরাহের কোম্পানির গাড়ি। অনেকেই অভিযোগ করেছেন বিয়ালীবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে রিক্সা চলায় রিক্সার চাকার হাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে অবরোধকারী শ্রমিকরা। আটকে রাখা হয়েছে ঔষধ কোম্পানির গাড়ি।
ছলিম উদ্দিন নামে এক রিক্সা চালক অভিযোগ করে বলেন, ফেরিঘাট থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে রিক্সা চালিয়ে আসলে কয়েকজন শ্রমিক তার রিক্সার হাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।
পাবেল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী জানান, যানবাহন না চলার কারণে বিয়ালীবাজার থেকে পায়ে হেঁটে মাইজগাঁও বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন বিয়ালীবাজারে কোন রিক্সা চললে তাঁর হাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে শ্রমিকরা।
শেখ মো. জাকারিয়া আহমদ নামে এয়ারটেল কোম্পানি সেলস্ এক্সিকিউটিভ বলেন, চাকরির কাজে বের হয়ে গাড়ি না পেয়ে বিপাকে পড়েছি। গাজীপুর থেকে মাইজগাঁও পর্যন্ত প্রায় ৫কিলোমিটার হেঁটে এসেছি। এভাবে আর কত আমাদের দুর্ভোগ সহ্য করতে হবে।
এদিকে, গণ পরিবহনের ধর্মঘট থাকায় মাইজগাঁও রেলস্টেশনে কুলাউড়া ও সিলেটগামী মানুষের ভীড় দেখা যায়।
এদিকে সজিব মিয়া নামে এক শ্রমিক বলেন, সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলে কেন্দ্রীয় নির্দেশে সারাদেশে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।