সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে আইন বাতিলের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলন করছে তাদের দাবি এই মুহূর্তে মানা সম্ভব নয়।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর সেতু ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই কথা জানান।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ‘এই মুহূর্তে আইন পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। পরবর্তী পার্লামেন্ট পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে। একটু ধৈর্যের সঙ্গে তারা অপেক্ষা করবেন, এর মধ্যে কোনো ন্যায়সঙ্গত বিষয় থাকলে আলোচনার মাধ্যমে বিবেচনা করা হবে।
শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বলতে চাই, ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন, মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোনো লাভ নেই।’
নিরাপদ সড়ক আইনে বলা আছে, বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালানোর কারণে কেউ গুরুতর আহত বা নিহত হলে মামলা হবে দণ্ডবিধির ৩০৪(খ) ধারায়। এ ধারায় সাজা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা। বর্তমানে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান আছে।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাস করা সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে শ্রমিকরা। রবিবার ভোর থেকে আট দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছে তারা। এতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সাধারণ যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে। অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। তবে বাস না পাওয়ায় নারী ও বয়স্কদের পড়তে হয়েছে বেশি ভোগান্তিতে।