Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এবার ছাত্রীদের গায়ে পোড়া মবিল দিল শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৩৯ PM
আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৩৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


পরিবহন শ্রমিকদের টানা দুই দিন ধর্মঘটের প্রথমদিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রাইভেটকারের চালক ও যাত্রীদের পোড়া মবিল ও কালি মাখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার নারায়ণগঞ্জে সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীদের বহন করা বাসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার পাশাপাশি চালক ও ছাত্রীদের গায়ে পোড়া মবিল লেপন করেছেন আন্দোলনরত পরিবহন শ্রমিকরা।

রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ উপজেলার শিমরাইল এলাকায় একটি পাম্পের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে বাসটি সেখানে থামিয়ে দিয়ে আর যেতে দেয়নি।

শিক্ষার্থীরা জানায়, দুপুর ১২টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকা পার হওয়ার সময় হঠাৎ শ্রমিকরা বাসটি থামিয়ে চালককে মারধর করে ও তার মুখে শরীরে পোড়া মবিল লেপে দেন। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে কয়েকজন ছাত্রীকেও পোড়া মবিল লেপে দেন শ্রমিকরা। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও শুরু করেন। পরে বাসের কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে বাস থেকে সবাইকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

বাসটির চালক মজিবর রহমান জানান, বাসটিতে ৩৮ জন ছাত্রী ছিল। তারা সবাই সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যয়নরত। ছাত্রী বহনকারী বাসটি সাইনবোর্ড এলাকায় এলেই হামলা করে বাসের গ্লাস ভাঙচুর করে শ্রমিকরা। পরে ছাত্রীদের গায়েও পোড়া মবিল মাখিয়ে দেয়।

নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বেদৌরা বিনতে হাবিবা বলেন, ঘটনাটি আমাকে চালক জানিয়েছে। সেখানে শ্রমিকরা কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করেছে এবং ছাত্রীদের সঙ্গে একটু সমস্যা হয়েছে। তাদের গায়ে পোড়া মবিলও দিয়েছে জানালো। বাসটি আপাতত একপাশে রাখা হয়েছে, কলেজে বাসটি ফিরলে বিস্তারিত জানতে পারবো।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে- ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা ও রিকশা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এ সময় প্রাইভেটকারচালকদের মুখে কালো রঙ, পোড়া মবিল ও আলকাতরা মেখে দিচ্ছেন শ্রমিকরা।

লাঞ্ছিত করা হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদেরও। জনভোগান্তির ছবি তুলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন ফটোসাংবাদিকরা।

রবিবার সকাল থেকে এ ধর্মঘটে গণপরিবহন বন্ধ রাখার কথা থাকলেও যাত্রাবাড়ীতে অটোরিকশা এবং ব্যক্তিগত গাড়ি চলতেও বাধা দেয়া হয়।

গণমাধ্যমকেও তারা কাজ করতে দিচ্ছেন না। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কাজলা, চিটাগাং রোড ও শনিরআখড়ায় এ নৈরাজ্য বেশি চলছে।

Bootstrap Image Preview