Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আটকে আছে তালাকের নিষ্পত্তি, দুই মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেলেন শ্রাবন্তী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:১৯ PM
আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:১৯ PM

bdmorning Image Preview


‘আমার সব ভালোবাসা আলমের জন্য। আমি অপেক্ষা করব। এখন আমাকে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাকে দুই মেয়ের কথা ভাবতে হবে।’ এই কথা গুলো বলেছেন এক সময়ের তারকা অভিনেত্রী ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তীর। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ যন্ত্রণা কিংবা সাজানো সংসারকে একেবারে খাঁদের কিনারায় দেখে এমন আক্ষেপের কথা তার মুখ দিয়ে আস্তেই পারে!

গত ৭ মে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের কাছ থেকে তালাকের নোটিশ পান। নোটিশ পেয়েই গত ২৫ জুন দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছিলেন তিনি।

চার মাস দেশে থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি প্লেনে নিউইয়র্কে ফিরে যান শ্রাবন্তী। এ সময় তার সঙ্গে ছিল দুই মেয়ে রাবিয়া ও আরিশা। বড় মেয়ে রাবিয়াহ আলমের বয়স সাত আর ছোট মেয়ে আরিশা আলমের সাড়ে তিন বছর। ফিরে যাওয়ার তেমন কাউকে জানাননি কিছু। শ্রাবন্তীকে এগিয়ে দিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী।

‘বিজ্ঞ ২য় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত ঢাকা, ইশরাত জাহান আজ দুই পক্ষের উপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানি সাপেক্ষে ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তীকে দেয়া বিবাদী খোরশেদ আলমের তালাকের নোটিশের কার্যক্রম পারিবারিক মোকাদ্দমা ৬৬৯/১৮ নিষ্পত্তি না হওয়া পযর্ন্ত স্থগিত করেছেন।’

১ আগস্ট নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী ফেসবুকে এই তথ্য জানিয়ে ছিলেন। শ্রাবন্তী ও খোরশেদ আলমকে আবারও একসঙ্গে দেখতে চান এই নির্মাতা। তিনি বলেন, রাবিয়া ও আরিশা (শ্রাবন্তী-খোরশেদ আলমের সন্তান) মা-বাবাকে একসাথে নিয়ে হাসি খুশি থাকো, আনন্দে থাকো। এই প্রার্থনা। আলম ভাই এবং শ্রাবন্তী তোমাদের আবার একসাথে দেখার আশায়, এই কামনা করি বিধাতার কাছে।’

২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তীর সঙ্গে বিয়ে হয় মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের। শুক্রবার বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে যাওয়ার আগে চয়নিকা চৌধুরীকে নিজের ব্যাপারে শ্রাবন্তী বলেছেন, ‘আমার সব ভালোবাসা আলমের জন্য। আমি অপেক্ষা করব। এখন আমাকে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাকে দুই মেয়ের কথা ভাবতে হবে।’

২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর মোহাম্মদ খোরশেদ আলম আর শ্রাবন্তীর বিয়ে হয়। তালাকের বিষয়ে মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি অনেক ছাড় দিয়ে শ্রাবন্তীকে বিয়ে করেছিলাম। শ্রাবন্তীর যেসব ব্যাপারে ছাড় দিয়েছি, তা থেকে শ্রাবন্তী এতটুকু সরে আসেনি। এত দিন আমি ব্যাপারগুলো সামনে আনতে চাইনি, কারণ তা আমাদের কারও জন্যই ভালো হবে না। দিনে দিনে আমাদের মধ্যে মানসিক দূরত্ব অনেক বেড়ে গেছে। পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস নেই বললেই চলে। যতটুকু অবশিষ্ট আছে, তা শেষ হওয়ার আগেই আমি সরে এসেছি। আমি চাইনি আমাদের সম্পর্কের ক্ষতিকর প্রভাব বাচ্চাদের ওপর পড়ুক।’

Bootstrap Image Preview