Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নরসিংদীতে বহু জীবন কেড়ে নিচ্ছে বেপরোয়া গতির যানবাহন

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৪৪ PM
আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


যানবাহনের বেপরিয়া চলাচলের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর জেলখানার মোড় ও মাধবদী মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে একের পর এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা। দূর পাল্লার বাস, রিকশা, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত অটোরিকসাসহ তিন চাকার যানবাহনের অবাধ চলাচলের কারণে সড়কে এমন দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

সারাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরও নরসিংদীতে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। জেলা ট্রাফিক বিভাগের ৫২ কিলোমিটারের ভিতরে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় বাদ যাচ্ছে না পুলিশ সদস্যরাও। 

নরসিংদীর ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়,  গত ১ বৎসরে এই ঢাকা- সিলট মহাসড়কে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে গত ২৫ অক্টোবর শিবপুরে পুরান্দিয়া বাসস্ট্যান্ড সিএনজি ও মনোহরদী পরিবহনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেছে একজনের ও আহত হয়েছে আরো পাঁচ জন।  

এছাড়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই সড়ক দুর্ঘনায় পুলিশসহ ৯ জন নিহত হয়। নিহতরা হচ্ছে- বাবুল (৩২), জুবায়ের আহমেদ (৩৫), রেজাউল (৩৫), আবুল খায়ের বাসার (৩২), ইকবাল আহমেদ (৩২) ও মাইক্রোবাসের চালক বাবুল হোসেন (৩৫)। 

গত ২০ আগস্ট ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার মহাখালীগামী ‘ঢাকা বস’ পরিবহনের একটি বাসনোয়াকান্দি-জঙ্গুয়া নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীতদিক নরসিংদীর ভেলানগর থেকে আসা ভৈরবগামী একটি লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনাটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জন নিহত হন। তারা সবাই লেগুনার যাত্রী। এসময় আহতদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালসহ ভৈরবের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে জেলা হাসপাতালে ১ জন ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায় আরও ২ জন।

নরসিংদীতে ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব জায়গায়ই চলাচল করছে রিক্সা, ভ্যান, ব্যাটারীচালিত রিক্সা  ও অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন তিন চাকার যানবাহন। যেসব জায়গা থেকে তিন চাকার যানবাহন চলাচল করে সেগুলো হলো, মাধবদী, শেকেরচর, পাঁচদোনা, সাহেব প্রতাব, জেলখানার মোড়, মরজাল, বারিচা, ইটাখোলা, নারায়নপুর সড়ক। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা জেলখানার মোড় এবং মাধবদী। এখানে রাস্তার মধ্যে দেখা গেছে ১০০ রিক্সা ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা। রিক্সাগুলো সরাতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের পর্যাপ্ত পরিমাণ দায়িত্বশীলতা থাকলেও ব্যাটারি রিক্সা চালকরা মানছেনা ট্রাফিক পুলিশের আইন। 

এদিকে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আজাদ উল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, এই ব্যাটারিচালিত রিক্সাচালকদের প্রায় ধরে নিয়ে গেলেও পুনরায় গাড়ি ফাঁড়ি থেকে ফিরিয়ে এনে এই মূলফটকে আবারও যানজট সৃষ্টি করে। তাই আমরা নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন এর নেতৃত্ত্বে নরসিংদীর জেলার নিয়ন্ত্রণে ৫২ কিলোমিটারের ভিতরে জনসাধারনকে যানজট মুক্ত করতে আমরা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সর্বদাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও জানান, চালকরা যদি একটু সচেতন হয় ও ট্রাফিক আইন মানে তাহলে যানজট মুক্ত হবে। 

Bootstrap Image Preview