Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ড. কামাল হোসেনের সাথে একসঙ্গে চলতে চাই: কাদের সিদ্দিকী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১২ PM
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১২ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও তাদের দেয়া ৭ দফা দাবিতে সমর্থন জানিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনের সাথে একসঙ্গে চলতে চাই।

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান কাদের সিদ্দিকী। তবে এ সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়া না দেয়া নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলেও জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম দেলোয়ার।

অন্যদিকে ড. কামালের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ অ ম শফিক উল্লাহ।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা-

১. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, আলোচনা করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।

২. গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

৩. বাক্, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

৪. কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাংবাদিকদের আন্দোলন, সামাজিক গণমাধ্যমে স্বাধীন মতপ্রকাশের অভিযোগে ছাত্রছাত্রী, সাংবাদিকসহ সবার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তাসহ সব কালো আইন বাতিল করতে হবে।

৫. নির্বাচনের ১০ দিন আগে থেকে নির্বাচনের পর সরকার গঠন পর্যন্ত বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত করতে হবে।

৬. নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ভোট কেন্দ্র, পুলিং বুথ ও কন্ট্রোল রুমে তাদের প্রবেশের ওপর কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ না করা। নির্বাচনকালীন গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করতে হবে।

৭. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা এবং নতুন কোনো মামলা না দেয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

Bootstrap Image Preview