গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গতকাল আরও একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে আশুলিয়া থানায়। এ নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা, ভাঙচুর ও মাছ চুরির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে পর পর পাঁচটি মামলা দায়ের করা হলো আশুলিয়া থানায়। সর্বশেষ চুরির মামলার বাদী কাজী মহিবুল রব নামে এক ব্যক্তি।
বুধবার রাতে ৫ম মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ পাটোয়ারী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার মালিকানাধীন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশের ১৯ একর পরিমাণ একটি জমি দীর্ঘদিন ধরে জবর দখল করার চেষ্টা করে আসছেন এবং জমির মালিকের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবিসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দিয়ে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে। মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি এ মামলা, জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার লোকজন দিয়ে জমিতে থাকা পুকুরের মাছ চুরি করিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর আশুলিয়া থানায় জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আরও দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা করেছেন মোহাম্মদ আলী নামে মানিকগঞ্জের এক ব্যক্তি, অন্যটির বাদি হাসান ইমাম নামে একজন। দুই মামলাতেই জমি দখলের চেষ্টা এবং কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এরপর ২১ অক্টোবর রবিবার রাজধানীর আদাবরের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সৈয়দ সেলিম আহমেদ (৬১) নামের এক ব্যক্তি চুরির অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয় অনধিকার প্রবেশ, চুরি, ভাঙচুর, ক্ষয়ক্ষতি, হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে মামলাটিতে। এতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে করা হয়েছে, হুকুমের শীর্ষ আসামি।
এরপর ২৩ অক্টোবর নাসির উদ্দিন নামে আরও এক ব্যক্তি জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় আরও দুটি জমি দখল ও চাদাবাজির মামলা দায়ের করেছিলেন।
এর মধ্যে দুটি মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করলে হাইকোর্ট তার আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সময় টিভির এক টকশোতে সেনা প্রধানকে ঘিরে এক মন্তব্যের কারণে ডা. জাফরুল্লাহকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড় ওঠে। ওই বক্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাও দায়ের হয়েছে। এরপর চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগে তিনটি মামলা হয়েছে।