Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:২৬ PM
আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৩০ PM

bdmorning Image Preview


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

আজ সোমবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন।

এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম বলেন, তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মূখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান।

এদিকে আজ বিকাল ৪টায় সৌদি আরব সফর নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কমানো নাও হতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট করা হলে উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আর তা ছাড়া বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের মন্ত্রী আছে।

মন্ত্রিসভা ছোট করে নির্বাচনকালীন সরকার এবার কখন হবে এবং তার ধরণ কেমন হবে? দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট না করলে কোনো অসুবিধা আছে কি না।

প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, যুক্তরাজ্যের মত যেসব দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে, কোথাও নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হয় না।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা কেন পুনর্গঠন করা হয়েছিল, সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সে সময় বিরোধী দলে থাকা বিএনপি নির্বাচনে আসতে রাজি হচ্ছিল না বলে তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যে মন্ত্রণালয় চায়, সেই মন্ত্রণালয় দেয়া হবে বলেছিলাম। তারা যখন আসেনি, তখন বিভিন্ন দলগুলো নিয়ে ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা (দশম সংসদ নির্বাচনে) মেজরিটি পাওয়া স্বত্ত্বেও প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো থেকে মন্ত্রিসভা গঠন করেছি। এই মন্ত্রিসভায় জনগণের প্রতিনিধি যারা, তারা আছেন। যেহেতু সব দলের প্রতিনিধি আছে, জানি না এটাকে ছোট করার দরকার আছে কিনা। কাটছাঁট করা হবে কিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভা ছোট করা হলে একজনকে কয়েকটা মন্ত্রণালয় চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দুই তিন মাসের জন্য থমকে যেতে পারে। এ বিষয়গুলোও ভাবতে হবে।

ড. কামাল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির দায়ে যারা অভিযুক্ত হয়েছেন তাদের সঙ্গে নিয়ে এক হয়েছেন ড. কামাল। তিনি তো সংবিধান প্রণেতা, সংবিধান তৈরি করেছেন। তিনিই তো ৭২ এর সংবিধান মানেন না। আমি ক্ষমতায় থাকাকালে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি, কাজ করছি, সারাজীবন কাজ করে যাব। বাংলাদেশের জনগণ যদি চাই তাহলে আবারও ক্ষমতায় আসব এবং জনগণ না চাইলে ক্ষমতায় আসব না। জনগণ যা চাইবে তাই হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি বাদশাহকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং অদূর ভবিষ্যতে তিনি বাংলাদেশে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সৌদি বাদশাহ। এছাড়া তিনি আমাকে হাফ সৌদি বলে আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বাংলাদেশে বিনিয়োগের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে মোট পাঁচটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

Bootstrap Image Preview