হাজার বছরের পুরনো পাথর ঘাটা হতে পারে পর্যটন ও দর্শনীয় এলাকা। সংস্কারের অভাবে দিন দিন প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে পাথর ঘাটার স্মৃতি চিহ্ন। তবে কিছুদিন আগে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে মাজারটি নতুন করে সংস্কার করেন জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ এ্যাড: সামছুল আলম দুদু। এতে করে কিছুটা হলেও প্রাণ ফিরে পায় জায়গাটি।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা নিয়মিত দেখভাল করছি যাতে করে পাথর ঘাটার স্মৃতি চিহ্ন ধওে রাখা যায়। আর্থিক সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যাচ্ছেনা। যদি সরকারি ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে প্রাচিন জনপদের অবহেলিত এই প্রত্যন্ত অঞ্চলটি পর্যটন, শিল্প ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এতে করে এই এলাকার লোকজনের বেকারত্ব দূরকরণের পাশাপাশি সরকারি রাজস্ব আয়েও অর্থ যোগান দিতে পারে বলে মনে করেন তিনি। উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা জয়পুরহাট। আর এই জেলার পাঁচবিবি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত পাল রাজা বংশের শাসনামলের নিদর্শন পাথার ঘাটা।
প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে মৌর্য রাজবংশের শাসনামল থেকে শুরু করে পালরাজা প্রথম মহিপালের (৯৮৮-১০৮৩) সময় পর্যন্ত একটি শক্ত প্রশাসনিক ভূমিকা ছিলো পাথরঘাটা-মহিপুর এলাকার। পাথরঘাটার মূল কেন্দ্র থেকে মাত্র ২শ’ গজ উত্তরে চারপাড় বাধানো একটি প্রাচীন অগভীর জলাশয় আজ কালের সাক্ষী হয়ে আছে। ভগ্ন পাড়গুলির প্রাচীন ইট গুলো দেখে তা সহজে বোঝা যায়। এখানে মসজিদ, মন্দির, শ্মশান, গির্জা ও মাজার অবস্থিত। মাজারটিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিকট নিমাই সন্ন্যাসীর আর মুসলিমদের কাছে নিমাই শাহ্ এর মাজার বলে পরিচিত।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাকিম মন্ডল বলেন, পাথর ঘাটাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন তারা।