Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রান্না করতে দেরি হওয়ায় বাবুর্চিকে খুন

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০২:১৬ PM
আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০২:১৬ PM

bdmorning Image Preview


ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় খাবার রান্না করতে দেরি হওয়ায় এক ট্রলারের বাবুর্চিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের চর মোহাম্মদপুর গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আল আমিন (২০)।

আল আমিন মো. কামাল হোসেন ওরফে পান্তা কামালের মালিকানাধীন একটি ট্রলারে বাবুর্চির কাজ করতেন। এ ঘটনায় জ্ঞাত ৮ জন ও অজ্ঞাত ৫–৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

আল আমিনের মা পারভীন আক্তার ও বাবা বাদল শিকদার জানান, গতকাল মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. বেল্লাল হোসেন, জাকির হোসেনসহ কয়েকজন শ্রমিক ট্রলারের জাল সেলাইয়ের কাজ করছিলেন। আল আমিন ট্রলারের চুলায় দুপুরের রান্না চাপিয়ে পানি আনতে যান। পানি আনার পথে ঘটনাস্থল থেকে ৮০-৯০ গজ দূরে বাবা বাদল শিকদারের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর পানি নিয়ে ট্রলারে ফিরে আসেন। এ সময় শ্রমিকেরা রান্না করতে কেন দেরি হচ্ছে—জানতে চান। একপর্যায়ে তাঁকে মারতে শুরু করেন তাঁরা। আল আমিনের ছোট ভাই ও কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তিও সেখানে ছিলেন।

শ্রমিকেরা আল আমিনকে পিটিয়ে আহত করেন এবং একপর্যায়ে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মঞ্জুরুল আহসান বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই আল আমিন মারা গেছেন। তাঁর গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, নিহত আল আমিনের মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাবা বাদল শিকদার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ ট্রলারটি জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে আমানত রেখেছে।

Bootstrap Image Preview