শেরপুরের খরমপুর এলাকায় একটি বিবাদমান জমিতে পৌর কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয় উসমান গণির পরিবারসহ কয়েকটি পরিবার রাস্তার অভাবে বর্তমানে প্রায় অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগী উসমান গণি একটি সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী উসমান গণি বলেন, খরমপুর মহল্লায় ৪ শতাংশ জমিতে বসতঘর করে পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস এবং ওই রাস্তা ব্যবহার করে আসছেন। উসমান গণির পরিবারের দীর্ঘদিনের চলাচল করা রাস্তাটি বন্ধ করতে একই এলাকার প্রতিবেশী মোঃ মঞ্জু মিয়া (৫০), মোঃ শামছুল হক (৪৬) ও স্বপন মিয়া (৪৫) সেই রাস্তার মাঝখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন।
এদিকে উসমান গণি এ বিষয়ে পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত মোঃ মঞ্জু মিয়া গংদের ওই জমিতে সীমানা প্রাচীর না করার জন্য চিঠির মাধ্যমে (স্মারক নং প্রকৌ:বি/শের/১৮/২৬৯, তারিখ-১৪/১০/১৮) নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মঞ্জু মিয়া পুনরায় সোমবার (১৫ অক্টোবর) সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন।
বিষয়টি ভুক্তেভোগীর পরিবার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিতভাবে অবগত করেছেন।
ভুক্তভোগী উসমান গণি আরো বলেন, আমরা উনাদের কাছে হাতজোড় করে রাস্তার বদলে টাকা বা জমি দিতে চেয়েছি। উনারা নিতে রাজি হয়নি। উল্টো হুমকি দিয়ে বলেন, আমাদের হাত অনেক লম্বা। প্রশাসন আমাদের পকেটে থাকে। আমি জানি না, আমি এখন কি করবো? এইখানে মরা ছাড়া আমাদের আর কোন পথ নাই। আমাদের এখানেই কবর দিয়ে যান।
এ ব্যাপারে পৌর প্যানেল মেয়র আতিউর রহমান মিতুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত মঞ্জু মিয়া গংদের লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।