বগুড়ার ধুনট উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামে বাঙ্গালী নদী থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম ১৫ দিন ধরে অবাধে বালু তুলে বিক্রি করছে। ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে নদীর তীরবর্তি আবাদি জমি ও বসতভিটা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে বহমান বাঙ্গালী নদী। সরকারি অনুমতি ছাড়াই সেখানে খনন যন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা। বর্তমানে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে পানির স্রোত বৃদ্ধি পেয়ে নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় অবৈধভাবে বালু তোলায় নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। অব্যাহত ভাঙনের ফলে নদীর তীরবর্তি আবাদি জমি ও বসতভিটা বিলীনের আশংকা রয়েছে। প্রকাশ্যে অবাধে বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বর্ষা মৌসুমে নদীর স্রোত উজান থেকে নিয়ে আসে প্রচুর বালি ও পলিমাটি। এই বালি নদীর দুই তীরের ভাঙন রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অবাধে বালু উত্তোলন করায় নদীর স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।
রাঙ্গামাটি গ্রামের বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বালু উত্তোলনকারী এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। তবে এভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। এখান থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করা না হলে আবাদি জমি ও বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হবে।
এ বিষয় বালু উত্তোলনকারী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আলিম বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের কোন আশংকা নেই। পানি কমতে থাকায় প্রাকৃতিকভাবেই নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। তারপরও এলাকার লোকজন নদী ভাঙনের মিথ্যা অভিযোগ করছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, বাঙ্গালী নদীর রাঙ্গামাটি এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের কোন অনুমতি নেই। এ বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। তারপরও তদন্ত সাপেক্ষে বালু উত্তোলকারীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।