Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চিরিরবন্দরে শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরির ধুম

মোঃ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩৫ PM
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩৫ PM

bdmorning Image Preview


দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লাতে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন হাঁক-ডাক করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই শীত জেকে বসার আগে লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে। ফলে লেপ-তোষকের দোকানে বাড়ছে  বেচা-কেনা।

এসব দোকানের কর্মচারীদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম ফুরসত নেই। শুধু লেপ-তোষক তৈরিই নয়, শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ ও ব্যবহার্য সামগ্রীতেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। পাতলা পোশাকের পরিবর্তে অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকছেন। তাই এখন কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম পোশাকেরও।

ছয় ঋতুর এই দেশে শীতের আগমনী বার্তা শীতকালে হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তা এখন ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। গ্রাম-বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ‘আশ্বিন মাস এলেই শীতের কারণে মানুষের গা শিরশির করে।’  কিন্তু এখন কার্তিক মাসের শেষ ভাগে সকাল হলেই ঘন কুয়াশা আর শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে। সূর্য উঠার ঘণ্টা দুই পরেই আবার বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির এমন রূপ।

তখন রোদের তাপে শীতের কুয়াশা দূর হয়ে গরমে ঘাম ঝরছে চিরিরবন্দর এলাকার মানুষের। সন্ধ্যা নামার পরপরই প্রায় সারারাত মাঝারি শীতের কারণে বাসা-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য পাতলা কাঁথা ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষই শীত নিবারণে সাধারণত নির্ভর করেন লেপ-তোষকের ওপর। এ কারণে লেপ-তোষকের কারিগরদেরও শীত আসার আগে থেকেই শুরু হয় ব্যস্ততা।

প্রতিবছরের মতো এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। শীতকে সামনে রেখে এরই মধ্যে চিরিরবন্দরের বিভিন্ন মার্কেট ও সপ্তাহিক হাট গুলোতে গড়ে ওঠা লেপ-তোষকের দোকান গুলোতে বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা। চিরিরবন্দর রাণীরবন্দরের লেপ-তোষকের মার্কেট ঘুরে কারিগরদের আগাম ব্যস্ততার দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল এই শীত এলো বলে! কারিগররা বলছেন, ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীতজুড়ে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাণীর বন্দরের লেপ- তোষকের মার্কেটে ১০টি লেপ-তোষকের দোকানের প্রায় সবকটিতেই ছিল অর্ডার দিতে আসা ক্রেতাদের ভিড়। একই দৃশ্য চোখে পড়ে  উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। এ বছর লেপের দাম  কেমন হবে জানতে চাইলে তুলা ব্যবসায়ীক মিলন বলেন, রেডিমেড লেপ কিনতে খরচ পড়বে- সিঙ্গেল লেপ দেড় হাজার টাকা, সেমি-ডবল লেপ আঠার শ’ থেকে দুই হাজার টাকা, ডবল লেপ পাওয়া যাবে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে।

তিনি আরও বলেন, তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে লেপ তৈরির খরচ। একটি ডবল লেপ বানাতে ৩ থেকে ৪ কেজি তুলা লাগে। আর লেপ বানাতে সাধারণত কার্পাস তুলা ব্যবহার করা হয়।

তাছাড়াও লেপ-তোষকের ব্যবসায়ীরা আরও জানান, এ বছর জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ বেড়ে গেছে ৩শ’ থেকে সাড়ে তিনশ টাকা।  তাছাড়াও অল্প দামের কম্বলও রয়েছে মার্কেট গুলোতে, যা তিনশ টাকা থেকে এক হাজার টাকায় পাবেন ক্রেতারা। 
 

Bootstrap Image Preview