Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

১৬ বছরের পুরনো রুটি রুজির জায়গা ফিরে পেলেন রবি দাস

সাখাওয়াত হোসেন সানি, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:২০ PM
আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:২০ PM

bdmorning Image Preview


অবশেষে ১৬ বছরের পুরনো রুটি রুজির জায়গা ফিরে পেয়ে বেজায় খুশি হলেন জুতার কারিগর সিরা লাল রবি দাস।

বুধবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক বাদল সরকার এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে জুতার কারিগরকে পুনর্বাসিত করেন।

সিরা লাল রবি দাস বলেন, ১৬ বছর সাতখামাইর বাজারে সড়কের পাশে ফুটপাতে বসে তিনি জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন। সাত কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। গত ১৫ দিন আগে তাকে সেখান থেকে উচ্ছেদ করে একজন পান ব্যবসায়ীকে সেখানে বসানো হয়। এরপর থেকে তার সংসারে টানাপোড়েন শুরু হয়। গত প্রায় তিনদিন আগে এলাকার কিছু সংখ্যক লোক ও কিছু সাংবাদিক তাঁর খোঁজখবর নেন।

শ্রীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির অর্থ সম্পাদক দৈনিক সবুজ নিশান পত্রিকার শ্রীপুর প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন সাদেক জানান, ৫ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সদস্য আলমগীর হোসেন, নাঈম মেহেদীসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সরেজমিন সিরা লাল রবি দাসের আদ্যোপান্ত খোঁজখবর নেন।

বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক বাদল সরকার বলেন, মঙ্গলবার এ খবরটি পত্রিকায় পড়ে তিনি ঘটনা অবগত হন। ওইদিন পরিষদের সদস্যদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে বৃহষ্পতিবার পরিষদের সদস্য, সাতখামাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লিয়াকত হোসেন দুলাল, সাতখামাইর বাজার ব্যবসায়ী পরিচলনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে জুতার কারিগর সিরা লাল রবি দাসকে তাঁর ১৬ বছরের পুরনো ঠিকানায় জায়গা করে দেন।

সিরা লাল রবি দাস বলেন, ১৫ দিন রুটি রুজি বঞ্চিত থাকার পর আজ যারা আমাকে আমার স্থান ফিরিয়ে দিলেন তারা আমার জন্য ভগবানের কাজটি করলেন। এবারের পূজায় এটি আমার সবচেয়ে বড় উপহার।


 

Bootstrap Image Preview