ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিরল রোগে আক্রান্ত স্কুলছাত্রী লাভলী আক্তার (১৩) যেন পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে। পরিবারের লোকজন, আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের চোখের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখে।
প্রতিদিন ১টি চোখ ব্যতীত নিজের মুখখানা কাপড় দিয়ে ঢেকে স্কুলের শ্রেণীকক্ষের সর্বশেষ বেঞ্চে বসে পাঠদানে অংশ নেয়। স্কুলের সহপাঠী, খেলার বন্ধুরা ও সমাজের মানুষগণ তাকে ঘৃণিত চোখে দেখে। আবার অনেকে দূর দূর করে সরিয়ে দেয়। একের পর এক বিদ্যালয় বদলাতে হয়েছে। তাকে দেখলে চোখ ফিরিয়ে নেয় সবাই। এই দূরারোগ্য বিরল রোগ যেন তাঁর স্বাধীনতাকে কাবু করেছে।
জানাযায়, নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের আগমুশুলী গ্রামের পারুলা খাতুন ও সাইদুর রহমানের মেয়ে লাভলী আক্তার। জন্মের পর থেকেই সে এই রোগে আক্রান্ত। অর্থের অভাবে সুচিকিৎসার করতে না পারায় ধীরে ধীরে রোগটি বিরাট আকার ধারণ করে। এতে তার একটি চোখ, মুখ সহ ঘাড়ের বর্ধনটুকু বিকৃতি ধরনের হয়ে যায়। ফলে একরকম গৃহবন্ধী হয়ে থাকতে হয় লাভলীকে। বর্তমানে সে আলংপুর আব্দুল বারিক রুস্তম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।
এ বিষয়ে তাঁর মা-বাবা বলেন, ‘শত হলেও তো নিজের সন্তান। কি আর করবো তাকে তো আর ফেলে দিতে পারি না। আল্লাহ যেন এরকম রোগ আর পরিবারে না দেয়।‘
লাভলীর বাবা কৃষক সাইদুর রহমান জানান, ‘সংসারে ৭ জন সদস্যের খাবার যোগাতেই দম পুড়িয়ে যায়, তার উপর মেয়ের যে উন্নত চিকিৎসার করাবো তার সামর্থ্য নেই।’ বর্তমানে লাভলীর বাবা-মা সরকারিভাবে মেয়েটির উন্নত চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। লাভলী আক্তারকে সহযোগীতা করার জন্য তাঁর নানা আব্দুল সোবহান (০১৯১৮-১৭০৪০৩/০১৭৬৮-৫৮১১০৩৯) এই নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।