হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বহুল আলোচিত সত্যজিৎ হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তার সম্পত্তি বিক্রি করে তা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১০ অক্টোবর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমজাদ হোসেন এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত অরবিন্দু দাশ (৩৩) নবীগঞ্জ উপজেলা চৌকি গ্রামের মনিন্দ্র দাশের পুুত্র। উক্ত মামলার অপর ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
এ মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- চৌকি গ্রামের মৃত অক্ষয় দাশের ছেলে অনীল দাশ (৪২) ও সুনীল দাশ (৪৮), একই গ্রামের নৃপেন্দ্র দাশের ছেলে নীরেশ দাশ (২৫), সঞ্জু দাশের ছেলে সুবেন্দ দাশ (২৫), প্রদীপ দাশ (৪০), নেপাল দাশ (২৮), মনিন্দ্র দাশের স্ত্রী বিপুলা রাণী দাশ (৫৫) ও তার ছেলে মলয় দাশ (৩২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে বানিয়াচং উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের প্রবাসী নকুল দাশের ছেলে সত্যজিৎ দাশ (১৪) চৌকি গ্রামে কীর্তন দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এর চারদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি চন্ডীপুর গ্রামের শ্মশানের পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সত্যজিতের বোন অলিকা রাণী দাশ বাদী হয়ে চৌকি গ্রামের অরবিন্দুসহ ৯ জনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, এক হাজার টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকা- ঘটিত হয়েছে। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৩ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মার্কুলী পুলিশ ফাঁড়ির সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার এ রায় দেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হবিগঞ্জ জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক জানান, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে। রায়ে বাদীপক্ষের পরিবারও আনন্দিত।’