Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কেমন আছেন শেখ হাসিনার দেহরক্ষী মাহাবুবের মা-বাবা?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৩০ PM
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৩০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


গতকাল মঙ্গলবার থেকে বাড়িতে রান্নাবান্না বন্ধ করে দেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নিহত মাহাবুব রশিদের বাবা-মা। কারণ আজ বুধবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হবে। তাই সকাল থেকেই নাতিকে বুকে নিয়ে বসে বসে ছিলেন টেলিভিশনের সামনেছেলে হত্যার বিচারের রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন মা হাসিনা খাতুন ও অসুস্থ বাবা হারুন অর রশিদ।

আজও তাদের বাড়িতে রান্নাবান্না হয়নি। এ সময় প্রতিবেশীরা তাদের কিছু খাবার দিলেও খাননি।

২১ আগস্ট ঘাতকদের ছোড়া গ্রেনেড আর বুলেটের আঘাতে নিহত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মাহাবুব রশিদ। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়।

১৪ বছর ৪৮ দিন পর ছেলে হত্যার রায় ঘোষণা হলেও রায়ে পুরোপুরি খুশি হতে পারেননি তারা। রায়টি একটি দৃষ্টান্ত হবে বলে আশা করেছিলেন সন্তানহারা এ বৃদ্ধ বাবা-মা। কিন্তু তাদের সেই প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।

মাহাবুব রশিদের অসুস্থ বাবা হারুন অর রশিদ বলেন, সাংবাদিকদের মুখে রায় হওয়ার খবর শোনার পর থেকে গত দুদিন আমাদের বাড়িতে রান্নাবান্না হয়নি। বড় মেয়ে তার বাড়ি থেকে কিছু খাবার এনেছে। সবাইকে বলেছি, আজকের রায়ে আমরা বিচার না পেলে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেব। ছেলে হত্যার রায় শুনে মনে স্বস্তি এলে বাড়ি গিয়ে ভাত খাব। তবে রায়ে আমরা পুরোপুরি খুশি হতে পারিনি। তবুও আদালত যে রায় দিয়েছে আমরা সেটিকে সম্মান করি। রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। মরার আগে যেন ছেলের খুনিদের ফাঁসি দেখে যেতে পারি এ আমার চাওয়া।

নিহত মাহাবুব রশিদের মা হাসিনা খাতুন বলেন, আশা ছিল সব আসামির ফাঁসি হবে। কিন্তু তা হয়নি। তবে এ রায় দ্রুত কার্যকর দেখে মরতে চাই। ফাঁসির রায় কার্যকর হলে খুনি ও তার পরিবার বুঝবে মায়ের বুক খালি করার কষ্ট। আমরা ধুঁকে ধুঁকে মরছি। ১৪ বছর ধরে কাঁদছি। এবার আমাদের কান্না কিছুটা কমবে। ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি বলে অন্তত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারব।

Bootstrap Image Preview