Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘৫০ লক্ষ পরিবারকে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:০১ PM
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:১২ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কৃষি বাংলাদেশের অন্যতম চালিকা শক্তি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশে গড়ার। এ জন্য তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৫ আগস্ট সব স্বপ্ন ভেঙে যায়। তবে পিতার দেখনো পথে অনুসরণ করে একটি পরিকল্পিত দেশ গঠনের জন্য ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্তের পাশাপাশি নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা: পুষ্টি-সংবেদশীল খাদ্য ব্যবস্থা (সিআইপি-২) মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের লক্ষ আমরা উন্নত রাষ্ট্রে উপনিত হবো। শুধু অর্থনীতির দিক দিয়ে নয় আমরা উন্নত হবো পুষ্টি সমৃব্ধ নিরাপদ খাদ্যের জাতী হিসেবেও। সেই লক্ষ অর্জনে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সরকার চেয়েছে খাদ্যে স্বয়ংস্বপূর্নতা অর্জন করতে এবং সে লক্ষ্যে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসপূর্ণ হয়েছে। এরই ধারাবাহিতকায় কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়ে খাদ্য উৎপাদনে আধুনিক, উন্নত ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ ব্যবহার জোরদার করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

কৃষির গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, শিল্পায়ান, নগরায়ন, রাস্তঘাট, সেতু নির্মাণ ও জলবায়ু মোকাবেলা করে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য সরবাহ করছে। দেশের উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি, গ্রামীণ কর্মসংস্থানে কৃষির গুরুত্বপূণ ভুমিকা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর দেশকে সকল দিক থেকে পরিকল্পিতভাবে সামনে এগিয়ে নিচ্ছিলেন জাতির জনক। কিন্তু তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে সব সম্ভবনা ভেস্তে যায়। স্বাধীনতার পর সকল দেশ আমাদের সহযোগীতা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর আমাদের দেশের সরকারের ব্যর্থতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। তারা মনে করত খাদের অভাব থাকা ভালো, বাজেটে খাটতি থাকা ভালো। এতে অন্যদেশের সাহায্য পাওয়া য়ায়।

এ সময় খাদ্য মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে ১৬ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে আমাদের সরকারের যাত্রা শুরু করি। আজ বাংলাদেশর খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকে, খাদ্য রপ্তানি করতে পারি। আমরা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য দিতে পারছি। এই মুর্হুতে আমাদের ১৬ লক্ষ মেট্রিকটন খাদ্য মুজুদ আছে। এখন আামরা মানুষের নিরাপদ খাদ্য সরবাহের চেষ্টা করছি। নিচু স্তরে মানুষ পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারছে না। আমরা তাদের পুষ্টিকর খাদ্য সরবাহ করতে কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষে আমারা ১০ টাকা কেজি করে ৩০ কেজি চাল ৫০ লক্ষ পরিবারের দিচ্ছি।

তিনি বলেন, মানুষ এখন ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পায় না। দেশ আজ নিন্ম মধ্যবৃত্ত থেকে মধ্যম আয়ের দেশের পথে এবং ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রের পথে। সেই উন্নত রাষ্ট্রপরিচালনায় যারা নের্তৃত্ব দেবে তাদের পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চিয়তা আমাদের করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন ও ২০১৫ সালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করে। সকল সময়ে দেশের সকল মানুষের জন্য নিভর্রযোগ্য খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়ন এবং দরিদ্র জনগণের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করণ। খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ এর কাজ করছে সরকার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, শাহাবুদ্দিন আহমদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রইছউল আলম মন্ডল, ইউএসএআইডি এর মিশন ডিরেক্টর ডেরিক ব্রাউন, হেড অব কো অপারেশন ডেলিগেশন অব দ্যা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশ এর মিনিস্টার কাউন্সেলর মারিও রনকোনি, এফএও রিপ্রেজেন্টেটিভ ইন বাংলাদেশ রবার্ট ডি সিম্পসন।

Bootstrap Image Preview