Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাবা-মা অসুস্থ, সংসার চলছে না সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতির

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৪৬ PM
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্রেইন স্ট্রোক করার পর থেকে ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না তিনি। অকেজো হয়ে পড়েছে ডান হাতটি। ডান পায়েও শক্তি পান না তিনি। বাড়িতে প্যারালাইসিসে পড়ে আছেন বৃদ্ধ বাবা তোফাজ্জল হোসেন (৮৫)। মা মাহামুদা বেগমও (৭৫) বয়সের ভারে শয্যাশায়ী। বলছি দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দবিরুল ইসলামের কথা।

রাজপথের লড়াকু সৈনিক, দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দবিরুল ইসলাম (৫০) ব্রেইন স্ট্রোক করেছিলেন। অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে না পেরে মানবেতর দিন যাপন করছেন তিনি। অনেক কষ্টে সংসার চালাচ্ছেন সাব রেজিস্ট্রি অফিসে মাস্টাররোলে চাকরি করা স্ত্রী রুনা লায়লা।

বর্তমানে এই নেতা তার বাড়ির পাশে একটি দোকানঘরে সময় কাটান মাথার উপর বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে। এক সময় অসংখ্য অসহায় মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। অথচ আজ তার খোঁজ নেয় না কেউ।

দবিরুল ইসলাম লজ্জায় কারও কাছে বলতে পারেন না অসহায়ত্বের কথা। অর্থের অভাবে বাবা-মায়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। নিজেও পড়ে আছেন অসুস্থ্য হয়ে।

২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে দবিরুল ইসলাম অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। বর্তমানে তিনি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক মাহাবুবুল আলমের চিকিৎসায় রয়েছেন।

জানা যায়, দিনাজপুর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের খেড়পট্রির বাসিন্দা দবিরুল ইসলাম ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালে পরপর দুইবার দিনাজপুর জেলা শাখা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৪ সালে দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৯৮ সালের ১৩ অক্টোবর সভাপতি নির্বাচিত হন। পড়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য ছিলেন।

এ ছাড়া ২০০৫ সালে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দিনাজপুর শহর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য তিনি। তবুও অর্থের অভাবে তিনি ওষুধ কিনেও খেতে পারছেন না।

নিরুপায় জানান, আর পারছি না। এবার হয়তো পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে একটি আবেদন করেছেন। আবেদনে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী সুপারিশ করেছেন। কিন্তু র্দীঘদিনেও কোনো সাড়া মেলেনি।

তার করা আবেদনটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরীর হাতেও দিয়েছেন। তাতের কোনো সাড়া পাননি।

দাবিরুলের সাথে যোগাযোগ করতে- ০১৭৩৫৮২৩২৩৬ নম্বরে।

Bootstrap Image Preview