২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ৩১ আসামিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-১ এ আনা হয়েছে। বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে তাদের আদালতে আনা হয়। এর আগে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের পুরনো ঢাকার বকশী বাজারের অস্থায়ী আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। এ মামলার বিচার কাজ চলছে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ট্রাইব্যুনালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে বাড়তি নিরাপত্তা দিয়ে তাদের ঢাকায় আনা হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের বকশীবাজার আদালতের হাজতে আনা হয়। আসামিদের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর ও আব্দুস সালাম পিন্টুও রয়েছেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২ থেকে আনা হয়েছে ১৪ আসামিকে। আর কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে আনা হয়েছে ১৭ জন আসামিকে।
বেলা ১১টার পর পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার এক নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায় পড়া শুরু করবেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। রায় ঘোষণাকালে আসামিদের উপস্থিত রাখার কথা রয়েছে।
এদিকে রায় কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ঘিরে পুরো এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিপুলসংখ্যক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ।
এছাড়াও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে পুলিশ সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। শহরজুড়ে থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। সব মিলে রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় পাঁচ হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি নেই। এ মামলায় বিচারক যে রায় ঘোষণা করবেন অবশ্যই তা কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, রায় ঘিরে কোনো কিছু হবে না। অনেকে মনে করছেন শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি হবে, কিন্তু আমি মনে করি এগুলো কোনো কিছুই হবে না। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রায় ঘিরে নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেউ যদি নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করে তবে কঠোরভাবে তা দমন করা হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।