আগামী ২০১৯ সালে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বর্ষ উদযাপিত হবে বলে দুটি দেশ একটি চুক্তি করেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অত্যন্ত উষ্ণ ও সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, এমপি এবং তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী মেহমেতনুরি এরসয়-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর সাথে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও ইতিহাস গবেষক মুনতাসির মামুন, ৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির, প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল হাশেম খান, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংগ্রাহক লে. কর্নেল (অবঃ) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক এবং স্থপতি ও কবি রবিউল হোসেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল এখন তুরস্ক সফর করছে।
দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের মাঝে যোগাযোগ ও সমঝোতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৯ সালে তুরস্কে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বর্ষ” উদযাপনের বিষয়ে দুই পক্ষ বৈঠকে একমত হয়েছেন।
বছরব্যাপী তুরস্কের বিভিন্ন শহরে শিল্প ও চারুকলাভিত্তিক অনুষ্ঠান আয়োজন, সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল বিনিময়, বিশেষ পুস্তুক-পুস্তিুকা প্রকাশনার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারা এবং তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী তুরস্কের সংস্কৃতি মন্ত্রীকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে আতিথেয়তা প্রদান করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি তুরস্কের সংস্কৃতি মন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রকল্পসমূহের প্রেক্ষাপটে ধারণা ও প্রত্যয় পাবার লক্ষ্যে এ সফর সংঘটিত হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তুরস্কের সংস্কৃতি এবং পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রণালয় আগামী দিনগুলোতে এ প্রকল্পের জন্য উপদেশনামূলক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এ প্রেক্ষিতে তুরস্কের সংস্কৃতি মন্ত্রী সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
বৈঠকে তুরস্কের আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এমরে ইউনুস ইন্সটিটিউট এর ঢাকা শাখা স্থাপন করার বিষয়ে আলোচনা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ঢাকায় এমরে ইউনুস ইন্সটিটিউট এর শাখা স্থাপনের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এছাড়া দিনের প্রথমভাগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আধুনিক তুরস্কের জনক গাজী মুস্তাফা কামাল আতাতুর্কের সমাধিস্থল আনিত কাবিরে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এবং প্রতিনিধিদল আনিত কাবিরে আতার্তুকের স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।