নান্দাইলে ২৮টি পূজামণ্ডপে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে ২৮টি পূজামণ্ডপে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় সকল পূজামণ্ডপের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জাসহ ডেকোরশনের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। পূজার মৌলিক বিষয় প্রতিমা তৈরী ও রঙ করায় ব্যস্ত সময় পার করছে কলাকুশলীগণ।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করছে প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। তবে বাশঁ, খাট, মাটি ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদীর দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমা তৈরীতে অন্যবারের তুলানায় খরচ বেশী হবে বলে জানান ভাস্কর শিল্পীরা। আগামী ১৫ই অক্টোবর সোমবার থেকে শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব শুরু হবে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটি নান্দাইল উপজেলা শাখার সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে নান্দাইল পৌর সদরে ১১টি পূজামণ্ডপের মধ্য রয়েছে থানা কালীবাড়ি, চন্ডীপাশা বর্মণপাড়া, চন্ডী দক্ষিণপাড়া সার্বজনীন, নান্দাইল বাজার সার্বজনীন, কাচারীর পিছন বাচ্চু সাহা, সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন, পাটমহল বাজার কালী মন্দির, ভূইয়াপাড়া, দক্ষিণ নাথপাড়া, উত্তর নাথপাড়া ও চন্ডীপাশা আদর্শপল্লী পূজামণ্ডপ।

এ ছাড়া ১নং বেতাগৈর ইউনিয়নের আত্মরামপুর সুশীল চন্দ্রবাড়ি, ২নং মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের রাম জীবনপুর, ৩নং নান্দাইল ইউনিয়নের সাভার পালপাড়া, ৪নং চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের কুড়াটি মদকবাড়ী ও ৫নং গাংগাইল ইউনিয়নের কান্দিউড়া মদনপুর, সুন্দাইল, ৬নং রাজগাতী ইউনিয়নের বড়াইল ধীতপুর, সাভার নাথপাড়া, চরশ্রীরামপুর আনন্দ বাজার, ৮নং সিংরইল ইউনিয়নের নারায়নপুর সার্বজনীন, ৯নং আচারগাঁও ইউনিয়নের ধরগাঁও পূজামণ্ডপ, ১১নং খারুয়া ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ কালীমন্দির, মাঠিকাটা বাজার, পশ্চিম মহেশকুড়া রবি দাশবাড়ি ও ১২নং জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের রায়পাশা কালীর বাজার, রহিমপুর মেস্তরী বাড়ি পূজামণ্ডপে শারদীয় দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে নান্দাইল পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি এডভোকেট শ্যামল কুমার গাংঙ্গুলী ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় সুশৃঙ্খল পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

নান্দাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবিএম সিরাজুল হক জানান, সরকারিভাবে ২৭টি পূজামণ্ডপে আধা টন করে সাড়ে ১৩ মেট্টিক টন চাউল বরাদ্দ করা হয়েছে।