হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
২০০৫ সালে সরকারিভাবে সেখানে একটি কমিউনিটি সেন্টার স্থাপিত হয়। ওই কমিউনিটি সেন্টারে ব্র্যাক প্রাথমিক বিদ্যালয় চলতে থাকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। বিদ্যালটি সরকারের নজরে আসলে ওই কমিউনিটি সেন্টারে আদিবাসী শিক্ষ উন্নয়নের জন্য চালু করে আদিবাসী পাঠদান। প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ হয় নারগুন আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার যাদুরানীবাজার নারগুন আদিবাসী পাড়ায় প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত হয় বিদ্যালয়টি। তবে বর্তমানে বেহাল দশা বিদ্যালয়টির।
একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। এখানে রয়েছে ৫৩ জন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে ভবন সংকটে ভুগছে। ব্যহত হচ্ছে আদিবাসীদের শিক্ষাদান কর্যক্রম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে ছোট ছোট দুটি আধপাকা ইটের দেয়াল ও টিনের ছাউনির কক্ষ রয়েছে। একটিতে পাড়ানো হয় প্রাক-প্রাথমিক ২৩ জন শিশুকে আর অন্যটিতে প্রথম শ্রেণির ৩০ জন শিশুকে।
জয়গার অভাবে গাদাগাদি করে বসতে হয়। বিদ্যালয়ের দু'টি শ্রেণিতেই চিন্তা মনি মূর্মূ নামে মাত্র একজন শিক্ষিকাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দিপাটুদু নামে একজন রয়েছে সেচ্ছাসেবী হিসাবে। তারা বাংলা ভাষা ও আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষা দিয়ে আসছেন বিদ্যালয়ের শুরু থেকে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি সনিরাম হেমরম বলেন, কমিটির মাধ্যমে এই বিদ্যালয়ে চিন্তা মনি মূর্মূ নামে একজন শিক্ষিকাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রা-প্রাথমিক শিক্ষা ও প্রথম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো হয়। সরকারি ভাবে উপজেলা প্রাথমিক অফিস থেকে পাঠ্য বই দেওয়া হয় কিন্ত উপবৃত্তি দেওয়া হয় না।
তিনি আরো জানান, এই উপজেলায় আদিবাসী ৯টি গ্রাম রয়েছে। আদিবাসী ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে। মাত্র দুটি কক্ষ দিয়ে বিদ্যালয় চালানো যায় না। নতুন ভবনের প্রয়োজন আছে, আছে শিক্ষকের প্রয়োজন।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার এম.জে আরিফ বেগ জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে মাসে ৩ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হয় এবং বিদ্যালয়ের জন্য বেঞ্চ, টেবিল, প্রয়োনীয় খেলনা সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।