ঝালকাঠিতে কারা হেফাজতে আ’লীগ নেতার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ঝালকাঠিতে কারা হেফাজতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউপি সদস্যের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। 

রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের বটতলায় শত শত নারী-পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।

উল্লেখ্য গত ৪ অক্টোবর রাতে বাসন্ডা ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান মন্টু কারা হেফাজতে বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মন্টুর পরিবারের অভিযোগ, একটি চাদাবজি মামলায় মন্টুকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ ঝালকাঠি শহরের আড়ৎদার পট্ট্রি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় মন্টুর প্রতিপক্ষের যোগসাজসে মন্টুকে লাঠিপেটা করে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার। লাঠি পেটায় মন্টুর পা ভেঙ্গে গেলে ঝালকাঠি কারা কর্তৃপক্ষ মন্টুকে বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি করে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মন্টু মারা যান।

এদিকে মন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় বাসন্ডা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বরিবার বিকেলে মন্টুর মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যাকান্ড দাবি করে এলাবাসী মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বক্তরা এসআই দেলোয়ার ও মন্টুর নামে দেয়া চাঁদাবাজী মামলার বাদী ইসহাক তালুকদার ও তাদের সহযোগিদের বিচার দাবি করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আ: কাদের হাওলাদার, হাফিজুর রহমান, মন্টুর মা নুরজাহান বেগম ও স্ত্রী নাজমা বেগম, মেয়ে সাথী আক্তার, নারী নেত্রী রোজী আক্তার, রুহুল আমিন মাষ্টার, আলহাজ্ব নূরুল আমিন বনিক ও মেহেদী হাওলাদার প্রমুখ।

এ ব্যাপারে বাসন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন মল্লিক বলেন, মন্টু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নির্বাচিত ইউপি সদস্য। তার বিনা চিকিৎসায় মুত্যুর জন্য মামলার বাদী, প্রশাসন ও তদন্তকারী কর্মকর্তা দোলোয়ার হোসেন দায়ী। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি যথা সময়ে চার্জশীট প্রদান করতে তাহলে মন্টুর এভাবে মৃত্যু হতনা। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং একজন চেয়ারম্যান হিসেবে এর সুবিচার দাবি করি।  

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন ‘তাকে গ্রেফতার করার সময় পালিয়ে যেতে চাইলে রিক্সা থেকে পরে গিয়ে তার পা ভেঙ্গে যায়। আমরা তার চিকিৎসা করিয়ে আদালতে হস্তান্তর করি। আদালতে জেল হাজতে পাঠায়। তার পরে কিছু হলে কারা কর্তৃপক্ষ জানবেন।’